E-Paper

‘পাট্টা-বিরোধী’ মিছিল আজ পাহাড়ে, আলোচনা চান অনীত

যৌথ মঞ্চের নেতাদের দাবি, সম্প্রতি রংলি রংলিওট চা বাগান এলাকায় পাট্টা-বিরোধী প্রচারের সময় যৌথ মঞ্চের নেতাদের একাংশের উপরে ‘হামলা’ হয়।

কৌশিক চৌধুরী

শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৫:৪৫
অনীত থাপা।

অনীত থাপা। —ফাইল চিত্র।

সমীক্ষা আপাতত বন্ধ হলেও, পাহাড়ের চা শ্রমিকদের পাট্টার বিষয় নিয়ে শাসক এবং বিরোধীদের চাপান-উতোর চলছেই। আজ, শনিবার পাহাড়ের চা শ্রমিকদের পাঁচ ডেসিমেল পাট্টার সরকারি নির্দেশ বাতিল ও যৌথ মঞ্চের নেতাদের উপরে হামলার ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে বিরোধীরা দার্জিলিঙে মহামিছিলের ডাক দিযেছে। এই মহামিছিল করার পুলিশি অনুমতি অবশ্য শুক্রবার রাত অবধি মেলেনি। মিছিলে হামরো পার্টি, জনমুক্তি মোর্চা, সিপিআরএম, বিজেপি, সিপিএম, জিএনএলএফের মতো দলের শ্রমিক নেতা-কর্মীদের যোগ দেওয়ার কথা। তবে পুলিশ মিছিল আটকে দিলে অশান্তির আশঙ্কাও করা হচ্ছে পাহাড়ে।

যৌথ মঞ্চের নেতাদের দাবি, সম্প্রতি রংলি রংলিওট চা বাগান এলাকায় পাট্টা-বিরোধী প্রচারের সময় যৌথ মঞ্চের নেতাদের একাংশের উপরে ‘হামলা’ হয়। তাতে কয়েক জন জখম হন। পুলিশের কাছে ‘গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’-এর (জিটিএ) এক সদস্য ছাড়াও, প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার একাধিক নেতার নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়। কিন্তু এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি বলে অভিযোগ। সে সঙ্গে সরকারি পাঁচ ডেসিমেল জমি বিলির সরকারি নির্দেশও বাতিলের দাবি তোলা হয়েছে।নেতারা জানান, পুলিশ প্রশাসনকে শান্তিপূর্ণ মিছিলের কথা বলা হয়েছে। তাঁদের দাবি, অনুমতি না মিললেও মিছিল হবে।

হামরো পার্টির সভাপতি অজয় এডওয়ার্ড বলেন, ‘‘আমি চা শ্রমিকদের পাশে সব সময় আছি। শনিবারের মিছিলেও থাকব। এক যোগে চা শ্রমিকদের দাবি আদায় করে আনতে হবে। সে জন্য সবাইকে জোটবদ্ধ থাকতে হবে।’’ যৌথ মঞ্চের অন্যতম নেতা তথা প্রাক্তন সাংসদ সমন পাঠক বলেন, ‘‘পাহাড়ে রাজ্যের শাসক দল এবং তাদের সঙ্গী মর্জিমাফিক কাজ করে চলেছে। পাট্টার নামে শ্রমিকদের বোকা বানানোর চেষ্টা চলছে। প্রতিবাদ করলে, মারধর করা হচ্ছে। এ সবের প্রতিবাদে আমরা মিছিল করছি।’’ আজ, শনিবার সকালে দার্জিলিঙের জিডিএনএস মাঠ থেকে শুরু হওয়া মিছিল গোটা শহরে ঘুরবেবলে ঠিক হয়েছে।

পরিস্থিতি আন্দাজ করে যৌথ মঞ্চ-সহ সবার সঙ্গে আলোচনায় বসার আহ্বান করেছেন জিটিএ প্রধান অনীত থাপা। তিনি বলেন, ‘‘পাট্টা নিয়ে ইচ্ছাকৃত ভাবে বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়েছে। আমরা শ্রমিকদের বাস্তু, কৃষি—সব ধরনের পাট্টার পক্ষে। অথচ, তাঁদের পাঁচ ডেসিমেল দিয়ে জমি কেড়ে নেওয়া হবে বলে রটানো হয়েছে।’’ যৌথ মঞ্চ থেকে চা সুরক্ষা সমিতি— সবার সঙ্গে আলোচনায় বসতে তিনি রাজি বলে অনীত জানিয়েছেন। জিটিএ প্রধান আরও বলেন, ‘‘পাহাড়ে অশান্তি করতে দেওয়া হবে না। বন্‌ধের মতো আন্দোলন মানুষের জন্য ক্ষতিকর। সমস্যা হলে, তা আলোচনার টেবিলে সমাধান হতে পারে।’’

যদিও অনীতের আলোচনার বসার বক্তব্য নিয়ে অজয়ের প্রতিক্রিয়া, ‘‘জিটিএ বৈঠক ডাকার কথা বলে, চিঠি দেওয়া হয়েছে।তাতে সাড়া মেলেনি। এতেই মনোভাব বোঝা গিয়েছে।’’ অনীতের দাবি, জিটিএ-র বৈঠক সময় মতো হবে। পাহাড়ের নেতারা মনে করছেন, লোকসভা ভোটের আগে, পাট্টাকে সামনে রেখে বিরোধীরা এক জোট হয়েছে। সেখানে কিছুটা ‘ব্যাক ফুটে’ অনীতেরা। পাহাড়ের শাসক দল কী ভাবে পরিস্থিতি সামলায়, তাএখন দেখার।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Siliguri

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy