এ ভাবেই ভার প্রযুক্তি ব্যবহার হয়ে বাতিল করা হয় লুকাকুর গোল। ছবি: এক্স।
ফুটবলার বল হাতে লাগিয়েছেন কি না, লাগালেও তাতে বলের গতিপথ কতটা বদলেছে, গতিপথ বদলে কতটা সুবিধা হয়েছে গোল করতে, সে সবই বোঝা গেল এক প্রযুক্তিতে। ইউরো কাপে স্লোভাকিয়ার বিরুদ্ধে গোল করেছিলেন বেলজিয়ামের রোমেলু লুকাকু। কিন্তু ভার প্রযুক্তিতে সেই গোল বাতিল হয়। এই প্রথম বার ক্রিকেটের প্রযুক্তি দেখা গেল ফুটবলে।
ম্যাচের ৮৬ মিনিটের মাথায় পরিবর্ত হিসাবে নামা বেলজিয়ামের লুইস ওপেনডা একক দক্ষতায় বল নিয়ে বক্সে ঢোকেন। তিনি বল বাড়ান লুকাকুর দিকে। বক্সে দাঁড়িয়ে থাকা লুকাকু বাঁ পায়ের শটে গোল করেন। কিন্তু সেই গোলও বাতিল হয়। ভার-এ দেখা যায় ওপেনডা হ্যান্ডবল করেছিলেন।
ভার প্রযুক্তিতে দেখা গেল নতুনত্ব। ব্যবহার করা হল ‘স্নিকোমিটার’ প্রযুক্তি। এই প্রযুক্তি সাধারণত ক্রিকেটে ডিআরএস-এর সময় ব্যবহার করেন আম্পায়ারেরা। এই প্রযুক্তিতে বোঝা যায় দু’টি বস্তুর মধ্যে স্পর্শ হয়েছে কি না। অর্থাৎ, এলবিডব্লিউ বা ক্যাচের ক্ষেত্রে বল ব্যাটে লেগেছে না প্যাডে, তা এই প্রযুক্তিতে বোঝা যায়।
বেলজিয়াম-স্লোভাকিয়া ম্যাচেও সেই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হল। তাতে দেখা গেল, বল নিয়ে যাওয়ার সময় হাতে লাগিয়েছিলেন ওপেনডা। তার ফলে বলের গতিপথ খানিকটা বদলে গিয়েছিল। ফলে বল নিয়ে বক্সে ঢুকতে সুবিধা হয়েছিল ওপেনডার। সেই কারণে এই গোল বাতিল করেন রেফারি উমুট মেলার।
এর আগে ভার প্রযুক্তি ব্যবহার করা হলেও স্নিকোমিটার ব্যবহার করা হয়নি। ইউরো কাপ শুরু হওয়ার আগে উদ্যোক্তারা জানিয়েছিলেন, এই প্রযুক্তি রেফারিদের সিদ্ধান্ত নিতে আরও সাহায্য করবে। ইউরো কাপে যে বল ব্যবহার করা হচ্ছে তাতে রয়েছে একটি বিশেষ ধরনের চিপ। সেই চিপের সাহায্যে সব তথ্য এসে পৌঁছয় ভার-এর দায়িত্বে থাকা দলের কাছে। তারা রেফারিকে তথ্য দিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে। প্রতিযোগিতার নবম ম্যাচেই দেখা গেল এই প্রযুক্তির কাজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy