স্ত্রীর অভিযোগে গ্রেফতার হলেন এক ভুয়ো দাঁতের ডাক্তার।
এ বার স্ত্রীর অভিযোগে গ্রেফতার হলেন এক ভুয়ো চিকিৎসক।
রবিবার সকালে ফালাকাটা থেকে ওই দাঁতের ডাক্তার গোপাল বিশ্বাসকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ দিনই তাকে আলিপুরদুয়ার বিশেষ আদালতে পেশ করা হলে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়।
স্ত্রী থাকার পরেও গত সপ্তাহে ওই চিকিৎসক কোচবিহারের বক্সিরহাটে এক তরুণীকে বিয়ে করতে গিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। তার স্ত্রী যমুনা বিশ্বাস খবর পেয়ে বক্সিরহাট থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে গিয়ে বিয়ে রুখে দেন। পরে ফালাকাটা থানায় স্বামীর বিরুদ্ধে লুকিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে ও ভুয়ো চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে চিকিৎসা করার অভিযোগ জানান। এরপরেই পুলিশ গোপালকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠায়। সে দিনই তিনি জামিনে মুক্তি পান।
বছর নয়েক আগে পশ্চিম ফালাকাটার যমুনা বিশ্বাসের সঙ্গে গোপালের বিয়ে হয়েছিল। তাদের একটি পুত্র সন্তানও আছে। কিন্তু স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বনিবনা না থাকায় গত পাঁচ বছর ধরে ছেলেকে নিয়ে বাবার বাড়িতে থাকেন যমুনা। বিবাহ বিচ্ছেদের মামলাও এখনও চলছে।
ফালাকাটা থানার আই সি বিনোদ গজমির বলেন, “গ্রেফতারের পর প্রথম স্ত্রী থাকাকালীন দ্বিতীয় বিয়ে করার অভিযোগ আনা হয়েছিল ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। সেই মামলাতেই আদালতে জামিন পায় গোপাল। পরে তাঁর স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে চিকিৎসকের শংসাপত্র ও অন্যান্য কাগজ-পত্র পরীক্ষা করা হয়। এই সমস্ত কাগজ-পত্র ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও দেওয়া হবে।’’ পাঁচ দিন হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করে সমস্ত তথ্য জানা যাবে বলে আইসি জানান।
অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে ফালাকাটার মাদারি রোডে চেম্বার খুলে দাঁতের চিকিৎসা করছিলেন গোপাল বিশ্বাস। সব ধরনের যন্ত্রপাতি বসিয়ে দাঁত তোলা, বাঁধাই সহ জটিল দাঁতের রোগেরও চিকিৎসা করে আসছিলেন। দোকানের সাইন বোর্ডে দাঁতের চিকিৎসার বিভিন্ন ডিগ্রি লিখে রাখতেন তিনি। চেম্বারেই দাঁতের সব ধরনের ওষুধও বিক্রি করতেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy