Advertisement
E-Paper

বৃষ্টিতে বেহাল ডার্বির মাঠই

বৃষ্টির জেরে মাঠে জল জমে প্যাচপ্যাচে অবস্থা। ঘাসের গোড়ায় গোটা মাঠেই জল জমে। ঘাস কাটা হলেও জল পেয়ে দ্রুত বাড়ছে। তাতে মাঠ ঠিক রাখতে নিয়মিত ঘাস ছাঁটতে হবে। এই মাঠে ঘাস ছাঁটাও সমস্যার হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সৌমিত্র কুণ্ডু

শেষ আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০১:৫২
কর্দমাক্ত: বৃষ্টিতে এমনই অবস্থা মাঠের। নিজস্ব চিত্র

কর্দমাক্ত: বৃষ্টিতে এমনই অবস্থা মাঠের। নিজস্ব চিত্র

যা পরিস্থিতি তাতে ডার্বি ম্যাচে খলনায়ক হতে পারে কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের মাঠ। সৌজন্যে বরুণ দেব।

বৃষ্টির জেরে মাঠে জল জমে প্যাচপ্যাচে অবস্থা। ঘাসের গোড়ায় গোটা মাঠেই জল জমে। ঘাস কাটা হলেও জল পেয়ে দ্রুত বাড়ছে। তাতে মাঠ ঠিক রাখতে নিয়মিত ঘাস ছাঁটতে হবে। এই মাঠে ঘাস ছাঁটাও সমস্যার হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত দু’তিন দিন ধরেই রাতে, সন্ধ্যার দিকে বৃষ্টি হচ্ছে। ঘাস ছাঁটা হলেও বৃষ্টি ভেজা মাঠে রোলার চালানো যাচ্ছে না। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মাঠে রোলার দেওয়া যায়নি। মাঠের এই পরিস্থিতির কথা শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের তরফে আইএফএ’র সচিবকে জানিয়ে দেওয়াও হয়েছে। তাঁরও মাঠ নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন। দুশ্চিন্তার বড় কারণ পূর্বাভাসে আগামী কয়েকদিন বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানানোয়।

ক্রীড়া পরিষদের কর্মকর্তারা জানান, ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান ক্লাব কর্তাদের মাঠের পরিস্থিতির কথা আইএফএর তরফে প্রাথমিক ভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আজ, শুক্রবার শিলিগুড়িতে পৌঁছবে দুই প্রধান। ইস্টবেঙ্গল ম্যাচের আগে দুই দফায় অনুশীলনের কথাও জানানো হয়েছে। মোহনবাগান দল শনিবার বেলা ১১টায় অনুশীলন করবে কাঞ্চনজঙ্ঘার মাঠে। কিন্তু বৃষ্টি চলতে থাকলে, মাঠে রোলার না চালাতে পারলে মূল মাঠে ম্যাচের আগে অনুশীলনের সুযোগ দেওয়া সম্ভব হবে না বলেই ক্রীড়া পরিষদের সচিব অরূপরতন ঘোষ জানিয়েছেন।

যা পরিস্থিতি মাঠে অনুশীলনের জন্য খেলতে দেওয়া হলে তা কাদায় ভরে যাবে। আইএফএ সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মাঠের পরিস্থিতি যা খবর পেয়েছি তাতে কিছুটা চিন্তা রয়েইছে। জল, কাদা ভাব থাকলে ওই মাঠে অনুশীলন করাতে দেওয়া যাবে না। সে ক্ষেত্রে অন্যত্র বা মূল মাঠের ধারে অনুশীলনের ব্যবস্থা করতে হবে।’’ রোদ উঠলে মাঠের অবস্থা অনেকটাই ঠিক হবে। তবে আগামী রবিবার ম্যাচের আগে সেই সুযোগ মিলবে কি না তা অনিশ্চিত।

মাঝমাঠে যেখানে আগে ক্রিকেটের পিচ তৈরি হত সেখানে ঘাস কিছুটা কম থাকায় এমনিতেই জল জমে রয়েছে। প্যাচপ্যাচে মাঠে পা দিলেই আঙুলের ফাঁকা দিয়ে জল বার হচ্ছে।

এ দিন মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের কর্মকর্তা, পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিক, পুরসভা এবং মহকুমা পরিষদের আধিকারিকদের নিয়ে ম্যাচের প্রস্তুতি বৈঠক করে পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। তিনিও মাঠ ঘুরে দেখে মনে করছেন, ‘‘বৃষ্টি পরিস্থিতির মধ্যে মাঠ সম্পূর্ণ প্রস্তুত নয়। রোদ পেলে রোলার চালালে ঠিক হয়ে যাবে।’’

বৃষ্টির জেরে স্টেডিয়ামে ঢোকার প্রধান ফটকের উপর দিয়ে জল চুঁইয়ে পড়ছে। সেখান দিয়েই ফুটবলার, কর্মকর্তারা স্টেডিয়ামে ঢুকবেন। এদিন তা দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন মন্ত্রী।

Kanchenjunga Stadium Rain Derby East Bengal Mohun Bagan ডার্বি কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়াম ইস্টবেঙ্গল মোহনবাগান
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy