সব ঠিক থাকলে দেশের আরও তিনটি শহরের সঙ্গে সরাসরি জুড়তে শুরু করেছে বাগডোগরা বিমানবন্দর। বিমানবন্দর সূত্রের খবর, গত বছরের শেষে ঠিক হয়েছিল, বছরের প্রথম দিকে বাগডোগরা থেকে চেন্নাইয়ের সরাসরি বিমান চালু করবে একটি বিমান সংস্থা। গত এক সপ্তাহে দিল্লি, কলকাতা’র বিমান সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়ার আধিকারিকদের একাধিক বৈঠকের পরে বদলে গিয়েছে পরিস্থিতি। শুধু চেন্নাই নয়, জয়পুর এবং আমদাবাদেও সরাসরি বিমান চলার বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার থেকেই চেন্নাই-র আগেই আমদাবাদ যাওয়ার বিমান বাগডোগরা থেকে চালু করে দেওয়া হয়েছে। আগামী ফেব্রুয়ারিতে চালু হবে চেন্নাইয়ের সরাসরি বিমান। তারপরে চালু হওয়ার কথা রাজস্থানের জয়পুর যাওয়ার বিমানটি।
বিমান সংস্থার অফিসারদের একাংশের মতে, পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঘুরতে পছন্দ করেন মহারাষ্ট্র এবং গুজরাতের বাসিন্দারা। প্রতি বছর সবকটি পর্যটন মরসুমে দার্জিলিং-কালিম্পং বা সিকিমে ওই দুই রাজ্য থেকে পর্যটকেরা আসেন। তেমনিই, উত্তরবঙ্গ, পাহাড় থেকে নানা কাজে এবং ঘুরতে চেন্নাই, হায়দরাবাদ এবং জয়পুরে প্রচুর মানুষ রোজ যাচ্ছেন। বাড়ছে সরাসরি রাজস্থান যাওয়ার চাহিদাও। কারণ এতদিন কলকাতা বা দিল্লি হয়ে বিমানে ওই শহরগুলোয় পৌঁছতে হচ্ছিল। বাগডোগরা বিমানবন্দরের অধিকর্তা সুব্রমণি পি বলেন, ‘‘নতুন নতুন গন্তব্যের চাহিদা বাড়তে থাকায় বিমান সংস্থাগুলোও সরাসরি বিমান চালানো শুরু করছে। আমদাবাদ, চেন্নাই এবং জয়পুর পরপর সরাসরি বিমান চালু হচ্ছে। আগামীতে নিশ্চয়ই আরও রুট বাড়বে।’’
বিমানবন্দরের অফিসারেরা জানান, গত ছ’মাসে বাগডোগরা থেকে হায়দরাবাদ, মুম্বই এবং বেঙ্গালুরুতে সরাসরি বিমান চালু হয়ে গিয়েছে। এ বার আমদাবাদ, চেন্নাই এবং জয়পুরের পালা। তবে বিমানবন্দরের টার্মিনালের যাত্রী সঙ্কুলানের পরিস্থিতি দিনের পর দিন খারাপ থাকায় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সকালে এবং দুপুরে নতুন বিমানগুলোর সময়সূচি ঠিক করতে চাইছেন। এখন বাগডোগরা থেকে ৩৩ জোড়া বিমান রোজ চলছে। এরমধ্য অন্তত ২০ জোড়া দুপুরে ১টা থেকে ৪টার মধ্যে চলাচল করে। এতে কয়েক হাজার যাত্রী একসঙ্গে টার্মিনালে থাকা ঠেলাঠেলির পরিস্থিতি তৈরি হয়। আমদাবাদের বিমানটি ১২.২৫ মিনিট বাগডোগরায় এসে ফের ১২.৫৫ মিনিটে ফিরেবে। চেন্নাই-র সরাসরি বিমানটি সকালের দিকে চালানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আর জয়পুরের বিমানটি বিকালের পরে যাতে চালানো যায়, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। বিমানবন্দর সূত্রের খবর, ‘হপিং ফ্লাইট’-এ (সরাসরি নয়) ৩/৪ ঘন্টার গন্তব্যে পৌঁছাতে সারাদিন লেগে যাচ্ছিল যাত্রীদের। খরচও বেশি হচ্ছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy