কিরণচন্দ চা বাগান লাগোয়া রেল লাইনের কাছে ট্রেনের ধাক্কার হাতির মৃত্যু নিয়ে সরব হয়েছে পরিবেশপ্রেমী বিভিন্ন সংগঠন। হিমালয়ান নেচার অ্যান্ড অ্যাডভেঞ্চার ফাউন্ডেশনের তরফে জানানো হয়েছে ডুয়ার্স এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় হাতির মৃত্যুর ঘটনা বেশ কয়েকবার ঘটলেও তরাই এলাকায় এমন ঘটনার কথা বহু দিন শোনা যায়নি।
তাই তাঁদের দাবি, এখনই প্রস্তুতি ও সতর্কতা নিতে হবে। কেন? তাঁরা জানাচ্ছেন, এই এলাকাটি অতীতে হাতির করিডর ছিল বলেই মনে করা হয়। তারপরে দীর্ঘদিন এই এলাকা দিয়ে হাতি যাতায়াত করত না। কিন্তু এখন বোঝা যাচ্ছে আবার হাতি এই পথে ফিরছে। একটি পরিবেশপ্রেমী সংগঠনের দাবি, এই এলাকা বরাবরই হাতির করিডর ছিল।
তাঁরা জানান, তরাই এলাকায় হাতির সংখ্যা বাড়ছে। বাড়ছে ট্রেন চলাচলের সংখ্যা সে কারণে এই ঘটনা উদ্বেগজনক। এখনই এ ব্যাপারে ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে এ ধরণের ঘটনা বাড়বে। এ দিন ওয়াইল্ড প্ল্যানেটর্স সংস্থার তরফে শিলিগুড়ি জংশন স্টেশনে রেল কর্তৃপক্ষকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
ন্যাফের মুখপাত্র অনিমেষ বসু বলেন, ‘‘তরাই এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় হাতির মৃত্যুর বিষয়টি উদ্বেগজনক। রেল এবং বন দফতরকে সমন্বয় রেখে কাজ করতে হবে। ট্রেনের গতি নিয়ন্ত্রণের উপর জোর দিতে হবে।’’
পরিবেশপ্রেমীদের দাবি ট্রেনের চালকের সতর্কতার অভাবেই এই ঘটনা ঘটেছে। এ দিন রেল কর্তৃপক্ষকে স্মারকলিপি দিয়ে এই অভিযোগ তুলেছেন ওয়াইল্ড প্ল্যানেটর্স সংস্থার সদস্যরা।
তাঁরা জানান, ওই এলাকা যে হাতির করিডর তার তথ্য প্রমাণ রয়েছে তাঁদের কাছে। নভেম্বর থেকে মে, জুন পর্যন্ত এই এলাকায় হাতির যাতায়াত বাড়ে। ট্রেন চলাচলের ক্ষেত্রে তা মাথায় রেখে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।
রেলের তরফে জানানো হয়েছে, বন দফতর তাদের জানায়নি যে, এই এলাকা হাতির করিডর। তবে ওয়াইল্ড প্ল্যানেটর্স-এর তরফে কৌস্তব চৌধুরী বলেন, ‘‘এ ভাবে হাতির মৃত্যু কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না। রেলের তরফে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছি আমরা। বন দফতর-সহ সমস্ত জায়গায় আমরা বিষয়টি জানাব।’’
দুর্ঘটনা: ট্রেনের ধাক্কায় মৃত হাতি। বুধবার। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy