Advertisement
১৬ জুন ২০২৪

স্ত্রী দাঁড়িয়েছেন দেখে ভোটে লড়ছেন স্বামীও

জলপাইগুড়ির পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদায়ী তৃণমূল প্রধান রাহেনা খাতুন তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছেন। ওই আসনেই তাঁর স্বামী মোবারোক আলির দাবি তিনিই প্রকৃত তৃণমূল প্রার্থী।

দম্পতি: রাহেনা খাতুন ও মোবারোক আলি। নিজস্ব চিত্র

দম্পতি: রাহেনা খাতুন ও মোবারোক আলি। নিজস্ব চিত্র

অনির্বাণ রায়
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০১৮ ০৩:২০
Share: Save:

এই দম্পতির মধ্যে সংসারিক খুটখাট নাকি প্রতিদিনই লেগেই থাকে বলে পড়শিদের দাবি। আশেপাশের বাড়ি থেকে সে সব শোনাও যায়. একজন এক কথা বললে অন্যজন পাল্টা দু কথা শুনিয়ে দেয়। বেশ কয়েকবার থানা-পুলিশও হয়েছে। এবার দুজনের তাল ঠোকাঠুকি শুরু হয়েছে ভোটের মাঠেও। স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই গ্রাম পঞ্চায়েতের এক আসনে প্রার্থী হয়েছেন। দুজনেই মনোনয়নে নিজেদেরে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে দাবি করেছেন।

জলপাইগুড়ির পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদায়ী তৃণমূল প্রধান রাহেনা খাতুন তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছেন। ওই আসনেই তাঁর স্বামী মোবারোক আলির দাবি তিনিই প্রকৃত তৃণমূল প্রার্থী। ঘনিষ্ঠ জনেদের কাছে তিনি দাবি করেছেন, “কর্মী সমর্থকরা আমার সঙ্গে রয়েছে। দল আমাকেই মনোনয়ন দিতে বলেছে। আমিই দলের প্রার্থী।” অন্যদিকে বিদায়ী প্রধান রাহেনা খাতুনের সাফ দাবি, “আমি তো দলের জেতা প্রার্থী। প্রধানও ছিলাম এই পাঁচ বছর। সুতরাং দল আমাকেই বেছেছে। এ নিয়ে কোনও বিবাদ নেই।”

গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে জেলা পরিষদ সব স্তরেই জলপাইগুড়িতে প্রার্থীপদের দাবিদার নিয়ে ত্রস্ত তৃণমূল নেতারা। কোথাও জেলা পরিষদ আসনে দলের হয়ে দু’জন মনোনয়ন জমা দিয়েছেন, কোথাও বা গ্রাম পঞ্চায়েতে এক একটি আসনে তিন-চার জন দলের কর্মীও মনোনয়ন জমা দিয়ে রেখেছেন। সেই বিবাদের সমাধান করতে ব্যস্ত নেতারা। সব পক্ষকে বুঝিয়ে আলোচনা চলছে। পাহাড়পুরের ঘটনা শুনে বিস্মিত দলের তাঁরাও। এক নেতা বলেই ফেললেন, “গোষ্ঠীবিবাদ তবু মেটানো যায়। কিন্তু এ গোলমালের শুরু তো ঘরের থেকে।” খবর পেয়েছেন জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তীও। তিনি বলেন, “দু’জনকে নিয়ে আলোচনায় বসতে হবে। দু’জনেই দলের কর্মী। ।”

তৃণমূল সূত্রের খবর পাল্লা ভারি রাহেনা খাতুনের দিকেই। তিনি বিদায়ী প্রধান। তাই তাঁর দাবি নেতৃত্বের কাছে অনেকটাই জোরালো। ফয়সালা না হলেও স্বামী বা স্ত্রী কেউ কাউকে ভোটের মাটি এক বিন্দুও ছাড়তে রাজি নন। দু’জন প্রচারও শুরু করে দিয়েছেন। শুরু করেছেন বাড়ি বাড়ি মিটিংও। পড়শিদের দাবি মনোনয়নের পরে গোলমাল আরও বেড়েছে। বেশ কয়েকদিন ধরে দু’জনের মুখ দেখাদেখিও বন্ধ বলে দাবি। মোবারক আলিকে বাড়িতেও দেখা যাচ্ছে না বলে দাবি।

রাহেনা খাতুন বলেন, “কে কোথায় রয়েছে আমি জানি না। আমি এখন প্রচারে ব্যস্ত।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE