বর্হিবিভাগের টিকিট কাউন্টার শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। রোগীদের আত্মীয়দের অপেক্ষার জন্য বসার ঘর ঝাঁ-চকচকে। রাত-বিরেতেও আশঙ্কাজনক রোগীর জন্য খোলা থাকে ব্ল্যাড ব্যাঙ্ক। মেলে এক্সরে, ইসিজি বা সিটি স্ক্যানের সুবিধেও। মহারাজার আমলে তৈরি সেই কোচবিহার এমজেএন হাসপাতাল এ বার নিয়ে নিয়ে এল কেন্দ্রীয় সরকারের পুরস্কার।
মানের দিক থেকে বিচার করে রাজ্যে সেরার ওই শিরোপা কোচবিহার এমজেএন হাসপাতালকে দেওয়া হয়। ওই তালিকায় নাম রয়েছে শিলিগুড়ি হাসপাতালেরও। তবে হাসপাতাল নিয়ে অভিযোগ যে নেই তা নয়। কখনও রক্তের সঙ্কট। কখনও রেফার। কখনও আবার ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগও ওঠে হাসপাতালের বিরুদ্ধে। আবার টেকনিসিয়ান না থাকায় মুখ থুবড়ে পড়েছে থ্যালাসেমিয়া বিভাগও।
ভাল-মন্দ মিলিয়ে চলা ওই হাসপাতালের এমন পুরস্কারে অবশ্য খুশি সবাই। ওই হাসতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান মিহির গোস্বামী বলেন, “হাসপাতালের পরিষেবা উন্নয়নে আমরা চেষ্টার কোনও খামতি রাখছি। রাজ্য সরকার সবরকম সাহায্য করছে। তার পরেও হয়তো কিছু খামতি থেকে যায়। আশা করছি আগামীতে আরও এগিয়ে যাবে এই হাসপাতাল। এই পুরস্কারে আমরা খুশি।” কোচবিহার জেলা হাসপাতালের সুপার জয়দেব বর্মন বলেন, “পরিষেবা থেকে চিকিৎসার খুঁটিনাটি সবদিক থেকে খতিয়ে দেখে ভারত ওই সরকার ওই পুরস্কার দেয়। ইতিমধ্যেই আমরা দিল্লিতে গিয়ে দেই পুরস্কার গ্রহণ করেছি। মান বজায় রাখতে কখনও খামতি রাখা হবে না।”