লোকসভা উপনির্বাচনের মুখে কোচবিহারে সাবেক ছিটমহলের জমি ইস্যুকে সামনে রেখে আন্দোলন শুরু করল বিজেপি। মঙ্গলবার কলকাতায় অবরোধ বিক্ষোভ করে আন্দোলন শুরু করে তারা। সাবেক ছিটমহল মশালডাঙা, পোয়াতুর কুঠি সহ একাধিক সাবেক ছিটমহল থেকে বিজেপি সমর্থক ও কর্মীরা ওই আন্দোলনে যোগ দেন। তাঁদের অভিযোগ, ছিটমহল বিনিময়ের দেড় বছর হতে চললেও জমি বিলি করতে পারেনি সরকার। এমনকি জমি সমীক্ষার কাজও সঠিক ভাবে হচ্ছে না। সে সব না করেই উন্নয়নের নামে জমি অধিগ্রহণ করা শুরু হয়েছে বলে দাবি তাঁদের। তাতে সাবেক ছিটমহলের বাসিন্দারা বড় ক্ষতির মুখে পড়ার আশঙ্কা করছেন।
বিজেপি নেতা তথা ছিটমহল আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত দীপ্তিমান সেনগুপ্ত বলেন, “সাবেক ছিটমহলের বাসিন্দাদের নানা স্বপ্ন দেখানো হয়েছিল। অথচ দেড় বছর পরেও তাঁরা শূন্যের খাতায় পড়ে আছেন। জোর করে অধিগ্রহণের নামে জমি দখলের ছক হচ্ছে। যা মেনে নেওয়া যায় না। এমনটা হলে মানুষ পথে বসে যাবে। তাই আমরা আন্দোলন শুরু করেছি।” তৃণমূল অবশ্য বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে রাজি নয়। তাঁদের দাবি, সাবেক ছিটমহলে উন্নয়নের কাজ শুরু করেছে সরকার। দলীয় স্বার্থে বিজেপি সাবেক ছিটমহলের বাসিন্দাদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। তৃণমূলের কোচবিহার জেলার সহ সভাপতি আব্দুল জলিল আহমেদ বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাবেক ছিটমহলের মানুষের জন্য যা করেছেন তাতে বিজেপির কথা কেউ শুনবে না। সে প্রমাণও সবাই পেয়ে গিয়েছে। দলে দলে সাবেক ছিটমহলের মানুষরা তৃণমূলে যোগ দিয়েছে।”
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, সাবেক ছিটমহলের জমি জরিপের কাজ শুরু হয়েছে। সেই কাজ অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি ওই এলাকাগুলিতে রাস্তা, বিদ্যুৎ, পানীয় জল পৌঁছে দিতে উন্নয়নের কাজ শুরু করা হয়েছে। তাতে কোথাও কোথাও প্রকল্পের কাজ করতে জমি মাপজোকও শুরু হয়েছে। তা নিয়ে স্থানীয় কিছু মানুষের আপত্তি ছিল। মেখলিগঞ্জের একটি ছিটমহলে প্রশাসনের লোকজনকে কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগও ওঠে। ছিটমহল আন্দোলনের নেতা দীপ্তিমানবাবুও ওই বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সামিল হন। পরে দীপ্তিমানবাবু বিজেপিতে সামিল হন। দলীয় সূত্রের খবর, লোকসভা উপনির্বাচনের মুখে এবারে সাবেক ছিটমহলের বাসিন্দাদের ওই ক্ষোভ ভোটের বাক্সে ফেলতে তৎপর হয়ে উঠেছে। বিজেপির হিসেব অনুযায়ী, সাবেক ছিটমহলের ওই আন্দোলনে তাঁরা আশেপাশের গ্রাম তো বটেই জেলার বিভিন্ন অংশের মানুষের নজর কাড়তে পারবেন। দীপ্তিমানবাবু অভিযোগ করেন, তাঁদের এ দিন অবস্থান করতে দেওয়া হয়নি। পরে তাঁরা অবরোধে সামিল হন। তৃণমূলের এক নেতা বলেন, “ছিটমহলের সমস্যার সমাধান আমরা করেছি। তাই ওই প্রচারে কোনও লাভ হবে না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy