Advertisement
E-Paper

মোদীর সভার আগে বাড়ি বাড়ি হুমকি, নালিশ বিজেপির

আর দিন কয়েক পরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জনসভা পাশের জেলায়। তা সফল করতে প্রচারও শুরু করেছিল বিজেপি। তার মধ্যেই কলকাতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবস্থানের পর থেকেই তাঁদের কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তুললেন বিজেপি নেতারা।

নমিতেশ ঘোষ

শেষ আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৫:৪৫

আর দিন কয়েক পরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জনসভা পাশের জেলায়। তা সফল করতে প্রচারও শুরু করেছিল বিজেপি। তার মধ্যেই কলকাতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবস্থানের পর থেকেই তাঁদের কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তুললেন বিজেপি নেতারা।

বিজেপি নেতাদের দাবি, কারা কারা প্রধানমন্ত্রীর সভায় যায় তা দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে। একাধিক জায়গায় হামলারও অভিযোগও উঠেছে। বিজেপির কোচবিহার জেলার সভানেত্রী মালতী রাভা অভিযোগ করেন, প্রধানমন্ত্রীর সভার জন্য হাজার হাজার মানুষ যোগাযোগ করছেন। কিন্তু ভাড়া গাড়ি পাওয়া যাচ্ছে না। তৃণমূল গাড়ি দিতে মালিকদের বারণ করে দিয়েছে বলে তাঁর দাবি। বিজেপি সভানেত্রী বলেন, “গোটা জেলাতে একই অবস্থা। বিজেপিকে ভয় দেখিয়ে ও মারধর করে আটকে রাখার চেষ্টা হচ্ছে। তাতে অবশ্য লাভ হবে না।”

উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন্নমন্ত্রী তথা তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ অবশ্য ওই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর দাবি, দিন কয়েক আগে মাথাভাঙায় রাজনাথ সিংহের সভায় লোক খুঁজে পায়নি বিজেপি। কার্যত ফাঁকা মাঠে সভা করে ফিরতে হয় বিজেপি নেতাকে। নরেন্দ্র মোদীর সভাতেও মানুষের যাওয়ার আগ্রহ নেই। তিনি বলেন, “জেলা তথা রাজ্যের হাওয়া বুঝে গিয়েছে বিজেপি। যত দিন যাচ্ছে সাধারণ মানুষ বিজেপির অনৈতিক কাজকর্মের বিরুদ্ধে গর্জে উঠছে। রাস্তায় নামতে শুরু করেছে মানুষ। তা বুঝেই বিজেপি ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলছে।”

মাথাভাঙার পারাডুবিতে রাজনাথ সিংহের সভার পরে প্রধানমন্ত্রীর সভায় লোক টানতে প্রত্যেকটি ব্লক ধরে ধরে প্রচারে নেমেছে বিজেপি। কোন ব্লক থেকে কতজন কর্মী প্রধানমন্ত্রীর সভায় যোগ দেবেন তার তালিকাও তৈরি করা হয়। সেই হিসেবে বাস বা ট্রাক ভাড়া করার কাজও শুরু হয়। এরই মধ্যে কলকাতায় সিবিআই-রাজীব কুমার দ্বন্দ্ব সামনে চলে আসে। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সিবিআইকে ব্যবহারের অভিযোগ তুলে ধর্নায় বসে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

নেত্রীর ক্ষোভ দেখে রাস্তায় নামেন কর্মীরাও। বিজেপির অভিযোগ, এই সময়ের মধ্যে দিনহাটায় একটি পার্টি অফিস ভাঙচুর হয়। সিতাইয়ে মিটিং করতে বাধা দেওয়া হয়। দলীয় কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দেওয়া হয় বলেও দাবি বিজেপির। তুফানগঞ্জের বারোকোদালি, বলরামপুর, কোচবিহার সদরের গোপালপুর-সহ একাধিক এলাকায় বিজেপি কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলেও অভিযোগ। বিজেপির কোচবিহার জেলার প্রাক্তন সভাপতি তথা দলের আলিপুরদুয়ারের পর্যবেক্ষক নিখিলরঞ্জন দে বলেন, “এ ভাবে বিজেপিকে আটকানো যাবে না।” তৃণমূলের কোচবিহার জেলার সহ-সভাপতি আব্দুল জলিল আহমেদ বলেন, “আমাদের কর্মীরা বিজেপির বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছে। তবে কোথাও কেউ হামলা করেনি।”

BJP TMC Politics Cooch Behar
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy