Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

জয়ের পরে ‘হারে’ প্রশ্ন

জয়ের পরেও হাতছাড়া দু’টি গ্রাম পঞ্চায়েত৷ দলের নবনির্বাচিত সদস্যদের ধরে রাখতে না পারায় বিজেপির আলিপুরদুয়ার জেলা নেতাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়ছে দলের নীচুতলার কর্মী-সমর্থকদের৷ এই পরিস্থিতির জন্য নীচুতলার কর্মী সমর্থকদের অনেকেই দায়ি করছেন জেলা নেতৃত্বকেই৷ যদিও বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন বিজেপির আলিপুরদুয়ার জেলার শীর্ষ নেতারা৷

পার্থ চক্রবর্তী
আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ২৭ অগস্ট ২০১৮ ০২:৪৯
Share: Save:

জয়ের পরেও হাতছাড়া দু’টি গ্রাম পঞ্চায়েত৷ দলের নবনির্বাচিত সদস্যদের ধরে রাখতে না পারায় বিজেপির আলিপুরদুয়ার জেলা নেতাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়ছে দলের নীচুতলার কর্মী-সমর্থকদের৷ এই পরিস্থিতির জন্য নীচুতলার কর্মী সমর্থকদের অনেকেই দায়ি করছেন জেলা নেতৃত্বকেই৷ যদিও বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন বিজেপির আলিপুরদুয়ার জেলার শীর্ষ নেতারা৷

গত বিধানসভা নির্বাচনে মাদারিহাট আসনটি জয়ের মধ্য দিয়ে বিজেপি আলিপুরদুয়ার জেলায় শক্তি বৃদ্ধি শুরু করে৷ এ বারের পঞ্চায়েত নির্বাচনেও ওই ধারা বজায় রাখেন জেলার বিজেপি নেতারা৷ ৬৬টির মধ্যে ৮টি গ্রাম পঞ্চায়েত নিজেদের দখলে নেন তারা৷ ছ’টি পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে কুমারগ্রামটিও বিজেপির দখলে যায়৷ পাশাপাশি ওই এলাকা থেকেই জেলা পরিষদের একটি আসনে জয়লাভ করেন বিজেপি প্রার্থী৷

দলের এই ‘সাফল্যে’ রীতিমত রীতিমত উচ্ছ্বসিত হন বিজেপির রাজ্য নেতারা জেলায় এসে আগামী লোকসভা নির্বাচনে এই ধারা বজায় রাখার প্রস্তুতিও শুরু করে দেন৷ কিন্তু পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন সামনে আসতেই যেন ছন্দপতন বিজেপি শিবিরে৷ প্রথমে কালচিনি ব্লকের দলসিংপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত, তারপর আলিপুরদুয়ার- ১ নম্বর ব্লকের পূর্ব কাঁঠালবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত৷ দল ভাঙিয়ে বিজেপির দখলে থাকা আটটির মধ্যে এই দুটি গ্রাম পঞ্চায়েত ছিনিয়ে নেয় তৃণমূল৷ আর তা ঘিরেই এখন ক্ষোভ বিজেপির নীচুতলার কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে৷

বিজেপি সূত্রের খবর, এই পরিস্থিতির জন্য শীর্ষ নেতৃত্বের একাংশকেই দায়ী করছেন দলের নীচুতলার কর্মী-সমর্থকদের একাংশ৷ অনেকেই ফেসবুকে পোস্ট করে তাদের ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন৷ দলের নীচুতলার কর্মী-সমর্থকদের অনেকেরই অভিযোগ, তৃণমূল যে দলের নবনির্বাচিত গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যদের নিজেদের দিকে টেনে বোর্ড দখল করার চেষ্টা করবে তা দলের সবাই জানেন৷ তারপরেও বোর্ড গঠনের আগে পর্যন্ত দুটি গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যদের তৃণমূলের নাগালের বাইরে সরিয়ে রাখার উদ্যোগ দেখা যায়নি৷

দলের অন্দরে ওঠা এমন সব অভিযোগ অস্বস্তিতে ফেলছে বিজেপির জেলা শীর্ষ নেতৃত্বকেও৷ যদিও বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন তাঁরা৷ বিজেপির জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা বলেন, “আমাদের দুটি গ্রাম পঞ্চায়েত হাতছাড়া হওয়া পুরনো ঘটনা৷ এটা নিয়ে আমার কিছু বলার নেই৷ কারও ক্ষোভ-বিক্ষোভের কথা জানিনা৷”

বিজেপির উত্তরবঙ্গের আহ্বায়ক রথীন বসু বলেন, ‘‘যাঁরা জেলা নেতৃত্বকে নিয়ে বলছেন বা ফেসবুকে পোস্ট করছেন, তাঁরা দলের কেউ নন৷ কারণ দলের নীচুতলার কর্মী সমর্থকরা সবাই জানেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরে বোর্ড গঠনের ক্ষেত্রেও কীভাবে সন্ত্রাস চালিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল৷’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

BJP Panchayat Panchayat Election 2018
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE