Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪

পচা মাংসের খোঁজে অভিযান

পুরসভার চেয়ারম্যান ভূষণ সিংহ এ ব্যাপারে বলেন, “খাবারের গুণগত মান বজায় রাখার ব্যাপারে কোনও খামতি রাখতে চাইছি না। শহরের বিভিন্ন খাবারের দোকানে ওই মান যাচাই অভিযান চালানো হবে।’’

নজর: কোচবিহারে নানা খাবার দোকানে নজরদারি চালায় পুরসভা। শনিবার সেই অভিযানে পুরসভার চেয়ারম্যান ভূষণ সিংহ। শনিবার। নিজস্ব চিত্র

নজর: কোচবিহারে নানা খাবার দোকানে নজরদারি চালায় পুরসভা। শনিবার সেই অভিযানে পুরসভার চেয়ারম্যান ভূষণ সিংহ। শনিবার। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কোচবিহার শেষ আপডেট: ০৬ মে ২০১৮ ১১:২১
Share: Save:

শহরে এ বার পচা মাংসের খোঁজে অভিযান! বিভিন্ন হোটেল, রেস্তোরাঁ এবং খাবারের দোকানে মাংসের মান যাচাই করতে হানা দেবে কোচবিহার পুরসভার বিশেষ দল।

পুরসভার চেয়ারম্যান ভূষণ সিংহ এ ব্যাপারে বলেন, “খাবারের গুণগত মান বজায় রাখার ব্যাপারে কোনও খামতি রাখতে চাইছি না। শহরের বিভিন্ন খাবারের দোকানে ওই মান যাচাই অভিযান চালানো হবে। এজন্য বিশেষ দল তৈরি করা হয়েছে। প্রয়োজনে নমুনা সংগ্রহও হবে।”

পাশাপাশি, ভেজাল দুধ দিয়ে তৈরি মিষ্টি, সন্দেশের মতো খাবার বিক্রির অভিযোগ নিয়েও নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে বলে তিনি জানান। শনিবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে ওই পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন চেয়ারম্যান।

পুরসভা সূত্রেই জানা গিয়েছে, শহরের বেশ কিছু হোটেল, রেস্তোরাঁয় বেশ কম দামে মাংসের খাবার বিক্রি হচ্ছে বলে জানতে পেরেছেন পুরসভার কর্তারা। ওইসব খাবারের গুণগত মান নিয়ে চিন্তায় পুরসভা। তাই আচমকা অভিযানের সিদ্ধান্ত। চেয়ারম্যান আরও জানান, কিছু দোকানে মাত্র ৭০ টাকায় বিরিয়ানির সঙ্গে ভাল পরিমাণ মাংসও দেওয়া হচ্ছে। বাজার দরের নিরিখে এত সস্তায় কীভাবে এতখানি মাংস দেওয়া সম্ভব তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে।

পরিদর্শনের সময় মাংস মজুতের ফ্রিজারের অবস্থা, কতদিন থেকে রাখা হয় তাও দেখা হবে। এমনকী, রান্নাঘরের পরিকাঠামোয় কতটা স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়েছে তা নিয়েও নজরদারি হবে। চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, কিছু মিষ্টির দোকানে ভেজাল দুধ দিয়ে তৈরি খাবার বিক্রির অভিযোগও রয়েছে। রাসায়নিক দিয়ে তৈরি ওই দুধের তৈরি খাবার থেকে নানা রোগের আশঙ্কা থাকে। তাই কোনও ঝুঁকি নিচ্ছি না।

বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, পচা কিংবা বরফ দিয়ে রাখা মাংস বিক্রির একটি চক্র বহুদিন থেকেই সক্রিয়। পুরসভার তরফে আগেভাগে উদ্যোগ নেওয়া হলে উদ্বেগ বাড়ত না। কোচবিহার জেলা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নারায়ণ মোদক বলেন, “ভাগাড় কাণ্ডের জেরে আমাদেরও উদ্বেগ বেড়েছে। আরও আগে ওই অভিযানে উদ্যোগী হওয়া উচিত ছিল। কেউ খারাপ মানের খাবার বিক্রি করলে আমরাও তাঁর পাশে দাঁড়াব না।”

কোচবিহার জেলা মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক বাপ্পা বণিক বলেন, “গ্রাম থেকেই বিক্রেতা দুধ সরবরাহ করেন। মিষ্টির দোকানে পরীক্ষা করার সুযোগ নেই। পুরসভা যদি ওই ব্যাপারে উদ্যোগী হয় তাহলে ভাল হয়।”

এদিকে, অভিযান চালিয়ে বাসি পচা মাংস আটক করল মালবাজার পুরসভা। শনিবার এখানকার হোটেল ও দৈনিক বাজার এলাকায় অভিযান চলে। নজরদারি সর্বত্র। বেশ কিছু হোটেলে পচা মাংস ও মশলা মিলেছে। বাজারে বেশ কিছু পচা মাছও উদ্ধার হয়েছে।

পুরসভার চেয়ারম্যান স্বপন সাহা বলেন, “যে হোটেল ও মাছের দোকানগুলো থেকে বাসি , পচা জিনিস উদ্ধার হয়েছে তাদের এদিনই চূড়ান্ত সতর্ক করা হয়েছে। পরবর্তী অভিযানের সময় যদি তাঁরা ফের একই ভুল করেন তাহলে হোটেলের লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত করা হবে। মাছের ব্যবসায়ীদেরও একই ভাবে কড়া শাস্তির মুখে পড়তে হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Carcass Meat Campaign Restaurants Municipality
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE