Advertisement
E-Paper

মহিলা কর্মীদের বার্তা চন্দ্রিমার

সংগঠন সূত্রেই জানা গিয়েছে, কোচবিহার সহ সব জেলাতেই প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। ব্লক স্তরের সম্মেলনেও ওই ব্যাপারে জোর দেওয়া হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০১৮ ০১:৪৮
জখম: ঠোঁট কেটে যায় তাহিদার। —নিজস্ব চিত্র।

জখম: ঠোঁট কেটে যায় তাহিদার। —নিজস্ব চিত্র।

দলের মহিলা সদস্যেদের যদি আরও বেশি করে প্রচারে নামার পরামর্শ দিলেন তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের রাজ্য সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।

শুক্রবার সন্ধ্যায় কোচবিহার রবীন্দ্র ভবনে ওই ব্যাপারে আয়োজিত একটি প্রশিক্ষণ শিবিরে যোগ দেন তিনি। চন্দ্রিমা বলেন, “আমাদের মেয়েরা ভীষণ কর্মঠ, তাঁদের যদি দলের কাজে আরও ভাল করে লাগাতে পারি, তাহলে মানুষের কাছে পৌঁছন আরও বেশি সম্ভব হবে।” মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মেয়েদের স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে অনেক কর্মসূচি নিচ্ছেন। সে সব যদি মেয়েরা বলে, তা হলে মানুষের কাছে ওই কর্মকাণ্ডের কথা নিয়ে তৃণমূল আরও গভীরে পৌঁছতে পারব। কী বলা হবে, তা নিয়ে মেয়েদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে।

সংগঠন সূত্রেই জানা গিয়েছে, কোচবিহার সহ সব জেলাতেই প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। ব্লক স্তরের সম্মেলনেও ওই ব্যাপারে জোর দেওয়া হয়েছে।

সেই সঙ্গে বিজেপিতে সদ্য যোগ দেওয়া নেতা মুকুল রায়ের সভা নিয়েও দলের কর্মীদের সতর্ক করে দিয়েছেন চন্দ্রিমা। কিছু দিন আগে ময়নাগুড়িতে মুকুলের সভা ঘিরে বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে দলের কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ তুলেছিল তৃণমূল৷ তার প্রতিবাদে সেই ময়নাগুড়িতে সভা করে বিজেপিকে উৎখাত করার ডাক দিলেন চন্দ্রিমা ও সাংসদ মানস ভুঁইঞা৷ বিজেপি তাদের কর্মীদের উপর আক্রমণ করলে তা যে বরদাস্ত করা হবে না, সে কথাও স্পষ্টতই জানিয়ে দিলেন তাঁরা৷

গত ৩০ ডিসেম্বর মুকুল জলপাইগুড়ির বিভিন্ন জায়গায় সভা করেন। একটি ছিল জোরপাকড়িতে৷ সভা শুরুর আগেই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল ও বিজেপির কর্মী সমর্থকরা৷ দু’পক্ষের ১৪ জন কর্মী সমর্থক জখম হন। স্থানীয় তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের মোটর সাইকেল ভাঙচুরও হয়৷

ওই ঘটনার প্রতিবাদেই শুক্রবার ময়নাগুড়ির জোড়পাকড়ির কাছে রাজারহাটে একটি জনসভার ডাক দেয় তৃণমূল৷ নাম না করে বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করে চন্দ্রিমা বলেন, ‘‘ওরা একেকটা দুর্বৃত্ত৷ বেস্ট বেঙ্গলের ওয়র্স্ট প্রোডাক্ট৷ মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে যখন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে, তখন রাজনৈতিক স্বার্থে তাঁরা সেই উন্নয়নে ব্যাঘাত ঘটানোর চেষ্টা করছেন৷ ওদের রাজ্য থেকে বিতারিত করতে হবে৷’’ সাংসদ মানসবাবু বলেন, ‘‘বাইরে থেকে ভাড়াটে গুণ্ডা এনে ওরা জলপাইগুড়িতে গোলমাল পাকানোর চেষ্টা করছে৷ আমাদের কর্মীদের উপর আক্রমণ হলে বরদাস্ত করা হবে না৷ কর্মীরা রুখে দাঁড়াবেন৷ রাজনৈতিক ও উন্নয়নের মাধ্যমে তার মোকাবিলা করা হবে৷’’

আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি যে পায়ের নীচে মাটি পাবে না, সে কথাও এ দিন স্পষ্টভাষায় জানিয়ে দেন তৃণমূলের দুই নেতা-নেত্রী৷ মানসবাবু বলেন, রাস্তাঘাটের উন্নয়ন থেকে শুরু করে একশো দিনের কাজ, পানীয় জল সরবরাহ সহ প়ঞ্চায়েত ব্যবস্থায় দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কাজ হয়ে এ রাজ্যে৷ চন্দ্রিমা বলেন, আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে তিনটি স্তরের সব আসনেই জয়ী হবে তৃণমূল৷

Chandrima Bhattacharya TMC
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy