CHILD WELFARE SOCIETY
সিনি পরিচালিত শিলিগুড়ির হাকিমপাড়ায় ‘ওপেন শেল্টার’ নিয়ে রিপোর্ট তলব করল সিডব্লিউসি। শনিবার রাতে ওই শেল্টারের কয়েক জন আবাসিক চিৎকার করে কান্নাকাটি করতে থাকে। তা শুনে আশেপাশের কিছু বাসিন্দা হোমে ঢুকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন কর্তৃপক্ষকে। এলাকার বাসিন্দাদের কয়েক জনের দাবি, তখনই আবাসিকরা জানান, তাঁদের মারধর করা হচ্ছে, নিয়মিত খেতে দেওয়া হচ্ছে না। তা শুনেই উত্তেজিত হয়ে ওঠেন স্থানীয়দের একাংশ। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতেই রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে বলেই প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে।
বেশ কয়েক মাস হল দার্জিলিংয়ের চাইন্ড ওয়েলফেয়ার কমিটি (সিডব্লিউসি) নেই। আলিপুরদুয়ারের সিডব্লিউসি-র দায়িত্ব সামলাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সিডব্লিউসি-র চেয়ারম্যান কান্তিভূষণ মহন্ত বলেন, ‘‘শেল্টার কর্তৃপক্ষকে সাত দিনের মধ্যেই রিপোর্ট জমা দিতে বলেছি। সব কিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আইন মেনেই যথাযথ পদক্ষেপ করা হবে।’’
অন্যদিকে সংশ্লিষ্ট শেল্টারের পরিকাঠামো নিয়ে উঠেছে বড়সড় প্রশ্ন। সমাজকল্যাণ দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, আইন অনুসারে ওপেন শেল্টারে কোনও আবাসিক থাকতে পারেন না। ওপেন শেল্টারে খাওয়া-দাওয়া পড়াশোনা করলেও রাতে থাকার কোনও বন্দোবস্তের কথা নিয়মে বলা নেই। একমাত্র হোমেই আবাসিকদের রাখা যেতে পারে। কান্তিভূষণ জানান, দার্জিলিং জেলায় সরকারি বা বেসরকারি কোনও হোম না থাকায় বিভিন্ন সময় উদ্ধার করা শিশুদের পাঠানো হয় অন্য জেলার হোমে। ছেলেদের ক্ষেত্রে জলপাইগুড়িতে বড় পরিকাঠামোযুক্ত কোরক হোম থাকলেও মেয়েদের ক্ষেত্রে সেরকম বড় কোনও বন্দোবস্ত নেই।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
সংশ্লিষ্ট শেল্টারের ইনচার্জ দেবযানি দে ভৌমিক জানিয়েছেন, তাঁদের কাছে শেল্টারের নিয়ম অনুসারে যে সব পরিকাঠামো থাকা প্রয়োজন, সব আছে। তবে দীর্ঘ সময় ধরে বাচ্চাদের রাখার যথেষ্ট পরিকাঠামো আছে কি না, সেই প্রশ্নের কোনও উত্তর দেননি তিনি। বলেন, ‘‘আজ, সোমবার সংস্থার পদস্থ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবো। তারপর যা ব্যবস্থা নেওয়ার সেগুলি নেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy