Advertisement
E-Paper

ডেঙ্গি, তবু ঠাঁই নেই

এ দিন স্বাস্থ্য দফতরের প্রধান সচিবকে অনিল বর্মাকে ফোন করে পরিস্থিতি জানান মেয়র। বাসিন্দারা হাসপাতালে এসে যাতে সুষ্ঠু পরিষেবা পান, সেই ব্যবস্থা করতে চিকিৎসকের দল পাঠাতে বলেন। ডেঙ্গি আক্রান্তদের চিকিৎসার সুবিধার জন্য প্লেটলেটের ব্যবস্থা করারও অনুরোধ করেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০১৭ ০৭:১০

জ্বর এবং ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা পরিষেবা পেতে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতাল এবং নার্সিংহোমগুলোয় গিয়ে নাজেহাল হতে হচ্ছে রোগী এবং তাঁদের পরিবারকে। রবিবার শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতাল এবং নার্সিংহোমগুলোর পরিস্থিতি ঘুরে দেখে মেয়র অশোক ভট্টাচার্যেরও এমনই অভিজ্ঞতা হয়েছে। শয্যার অভাবে শিলিগুড়ি হাসপাতালে জ্বরে আক্রান্তদের অধিকাংশকে মেঝেতে অস্থায়ী শয্যায় থাকতে হচ্ছে। পুরুষ এবং মহিলা মেডিসিন এবং আইডি ওয়ার্ড মিলিয়ে জ্বরের রোগী প্রায় একশো। হাসপাতালেরই একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিন পঞ্চাশেরও বেশি জ্বরের রোগীকে ছুটি দেওয়া হচ্ছে। ভর্তিও হচ্ছে প্রায় একই সংখ্যক। রোগ না-সারলেও দু’একদিন রেখেই রোগীদের ছেড়ে দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। না হলে অন্য রোগীদের জায়গা দেওয়া যাবে না বলেই তাঁদের একাংশ জানিয়েছেন।

এ দিন স্বাস্থ্য দফতরের প্রধান সচিবকে অনিল বর্মাকে ফোন করে পরিস্থিতি জানান মেয়র। বাসিন্দারা হাসপাতালে এসে যাতে সুষ্ঠু পরিষেবা পান, সেই ব্যবস্থা করতে চিকিৎসকের দল পাঠাতে বলেন। ডেঙ্গি আক্রান্তদের চিকিৎসার সুবিধার জন্য প্লেটলেটের ব্যবস্থা করারও অনুরোধ করেন।

পরিস্থিতি কতটা খারাপ তা বোঝা গিয়েছে চার নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মিঠু বিশ্বাসের ক্ষেত্রে। জ্বর নিয়ে হাসপাতালে তিন দিন ভর্তি থাকার পরে ঠিকমতো চিকিৎসা হচ্ছে না, এই অভিযোগে তাঁর পরিবার তাঁকে এক নার্সিংহোমে নিয়ে যান। এলাকার কাউন্সিলর পরিমল মিত্র জানান, নার্সিংহোমও ভর্তি রাখতে চানি। তিনটি নার্সিংহোম ঘোরার পরে এ দিন তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অসিত বিশ্বাসকেও ফোন করেন মেয়র। তিনি বলেন, ‘‘জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিকের উপর আমার বিশ্বাস রয়েছে। কিন্তু যে পরিস্থিতি হাসপাতালে গিয়ে দেখেছি, তাতে বাসিন্দারা সুষ্ঠু চিকিৎসা পাচ্ছেন না। তা তাঁকে জানিয়েছি।’’ তিনি জানান, নার্সিংহোমগুলোতেও অন্তত একশো রোগী রয়েছেন। বর্ধমান রোডের একটি নার্সিংহোমে জ্বরের রোগী রয়েছে অন্তত ২০ জন। বাসিন্দাদের অভিযোগ, নার্সিংহোমে চিকিৎসা করাতে গিয়ে বহু টাকা খরচ করতে হচ্ছে। রোগীর পরিস্থিতি দেখে অনেক সময় তারা ভর্তিও নিতে চাইছে না। এ দিন মাটিগাড়ার উত্তরায়ণ উপনগরীর এবং কলেজপাড়ার একটি নার্সিংহোমে গিয়ে পরিস্থিতি দেখেন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকও। সোমবারও তিনি বেশ কিছু নার্সিংহোম ঘুরে পরিস্থিতি দেখবেন বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে কিছু সমস্যার কথা মেয়র জানিয়েছেন। তা গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।’’ শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য জানান, জ্বরের রোগী আসছেন। তবে চিকিৎসক পর্যাপ্ত রয়েছে। ম্যাক এলাইজা পরীক্ষা, রক্তের প্লেটলেট গণনা হাসপাতালেই করে দেওয়া হচ্ছে। পরিস্থিতি দেখতে তিনি হাসপাতালে যাবেন।

Dengue Mosquitos Siliguri শিলিগুড়ি ডেঙ্গি
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy