জলমগ্ন এলাকা পরিদর্শনে শিলিগুড়ির মেয়র অশোক ভট্টাচার্য। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক।
টানা বৃষ্টিতে ধস নেমে ফের বিপর্যস্ত হয়ে পড়ল সমতল থেকে পাহাড়ের যোগাযোগ।
বুধবার রাত থেকে একের পর এক ধসে চারটি রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং, মিরিক, কালিম্পং এবং সিকিমের যোগাযোগ। এ দিন সকালে বেশ কয়েক ঘণ্টা সমতলের সঙ্গে পাহাড়ের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল। বৃষ্টি চলতে থাকায় ধস সরানোর কাজে সমস্যা তৈরি হয়। যদিও, পাহাড়-সমতলের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় বৃষ্টির মধ্যেই কাজে গতি আনার নির্দেশ দেয় প্রশাসন। জেলা প্রশাসন সূত্রে দাবি করা হয়েছে এ দিন দুপুরের মধ্যে চারটি রাস্তা দিয়েই যান চলাচল সম্ভব হয়েছে।
এ দিন ভোর রাতে শিলিগুড়ি লাগোয়া সেবকে ধস নেমে রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। সেবকের রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শিলিগুড়ির সঙ্গে একদিকে সিকিম, কালিম্পং অন্যদিকে ডুয়ার্সের সরাসরি যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। দুপুরের পরে ধস সরিয়ে রাস্তার একদিক দিয়ে গাড়ি চালানোর ব্যবস্থা করে প্রশাসন। নাগাড়ে বৃষ্টি চলতে থাকলে ফের ধসের আশঙ্কা রয়েছে। সিকিমের জোরথাং যাওয়ার রাস্তা বন্ধ হয়েছে এ দিন সকালেই।
শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিঙে যোগাযোগের দু’টি রাস্তাও বুধবার গভীর রাত থেকে ধসের কবলে। কার্শিয়াং থানা এলাকার চিলৌনি ধুরা পাঙ্খাবাড়ি রোডে রাতে ধসের জেরে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সকাল থেকে শুরু হয় যানজট। দার্জিলিং যাওয়ার সরাসরি রাস্তা রোহিনী রোডও ধসের কারণে সকাল পর্যন্ত বন্ধ ছিল।
টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে শিলিগুড়ি শহরের বহু এলাকাও। ভারী বৃষ্টি এবং সেই মতো সঠিক সময়ে মহানন্দা ব্যারাজ কর্তৃপক্ষ জল ছাড়তে না পারায় প্লাবিত হল শিলিগুড়ি শহরের বিভিন্ন এলাকা। বৃহস্পতিবার সকাল টা থেকে মহানন্দার জল ঢুকতে শুরু করে নদী লাগোয়া ১, ৩, ৪, ৫, ১০, ৩১, ৪৩, ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডগুলির বিভিন্ন এলাকায়। নিকাশি সমস্যার জেরেও ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের নিউ মিলনপল্লি, ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের শক্তিগড়, অশোকনগর এলাকা, ২৪, ৩২, ৩৩, ৩৭, ৩৯, ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডে সব মিলিয়ে অন্তত ৪০ হাজার বাসিন্দা দুর্ভোগের শিকার হন। মেয়র অশোক ভট্টাচার্য মহানন্দা ব্যারাজ কর্তৃপক্ষকে ফোন করে জল ছাড়ার জন্য ব্যবস্থা নিতে বলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy