পঞ্চায়েত নির্বাচনে আসন ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনার মধ্যেই জেলা পরিষদ আসনে এক কংগ্রেস প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা নেওয়া নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে। সোমবার মালদহের চাঁচলে মহকুমাশাসকের দফতরে এসে মনোনয়নপত্র তোলার পর এ দিনই তড়িঘড়ি করে তা জমাও করেন রবিউল ইসলাম নামে ওই কংগ্রেস প্রার্থী। তিনি হরিশ্চন্দ্রপুর১ ব্লকের ৯ নম্বর আসনে প্রার্থীপদের জন্য মনোনয়ন জমা করেছেন। সম্ভাব্য প্রার্থীর সঙ্গে ছিলেন হরিশ্চন্দ্রপুরের বিধায়ক মোস্তাক আলমও। বিধায়ক ঘনিষ্ঠ রবিউল যে আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে সেই আসনে সিপিএম প্রার্থী জয়ী হন। ফলে কোন আসনে কে দাঁড়াবেন, তা নিয়ে আলোচনার মাঝপথে কংগ্রেস সিপিএমের জেতা আসনে প্রার্থী দেওয়ায় সিপিএমের অন্দরে ক্ষোভও তৈরি হয়েছে।
রাজনৈতিক মহলের খবর, তৃণমূলকে রুখতে মালদহে আসন ভাগাভাগি নিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে বামেদের আলোচনা চলছে। সেক্ষেত্রে অবশ্য ফরওয়ার্ড ব্লক থাকছে না বলে রাজনৈতিক মহলের খবর। জেলার বেশ কিছু আসন ভাগাভাগি নিয়ে কংগ্রেস ও সিপিএমের মোটামুটি আলোচনা হলেও হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকে আসন বণ্টন নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। এর মধ্যে এ দিন বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে চাঁচলে এসে মনোনয়ন জমা করেন পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী সদস্য রবিউল। তিনি যে আসনে প্রার্থী হতে চান, তাতে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে জিতেছিলেন সিপিএমের জ্যোতি চৌধুরী।
বিধায়ক বলেন, ‘‘ব্লক কমিটির সিদ্ধান্ত মতো রবিউল মনোনয়ন জমা করেছেন। আসন ভাগাভাগি নিয়ে জেলা স্তরে এখনও আলোচনা চলছে। তেমন হলে বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই হবে। নয়তো তৃণমূলকে রুখতে যে কোনও রকম সমঝোতার পথেই আমাদের হাঁটতে হবে।’’ রবিউল ইসলামও এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘ব্লক নেতৃত্বের সিদ্ধান্তেই যা করার করেছি।’’
জেলা পরিষদের প্রাক্তন কর্মাধ্যক্ষ তথা হরিশ্চন্দ্রপুরের সিপিএম নেতা জামিল ফিরদৌস বলেন, ‘‘এটা কংগ্রেসের ঘরোয়া বিষয়। আসন ভাগাভাগির পরেও আমাদের জেতা আসনে অন্য কেউ প্রার্থী দিলে সেটা আমরা মেনে নেব না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy