E-Paper

শামুকখোল বাঁচাতে তৎপরতা জেলায়

কোচবিহারের এডিএফও বিজনকুমার নাথ অবশ্য জানান, পরিযায়ী পাখিদের বাসস্থান নিরাপদ করার জন্য একাধিক পদক্ষেপ করেছে বন দফতর।

নমিতেশ ঘোষ

শেষ আপডেট: ৩০ জুলাই ২০২৪ ০৮:৪০
ধোঁয়ায় ঢাকা শামুকখোলের বাসা। নিজস্ব চিত্র

ধোঁয়ায় ঢাকা শামুকখোলের বাসা। নিজস্ব চিত্র

পরিযায়ী পাখি বাঁচাতে এ বার তৎপর সবাই। নজরদারি বাড়ানোর সঙ্গে কোথায় কোথায় পাখিদের বসবাসের উপযুক্ত পরিবেশ করা যায়, তা নিয়েও শুরু হয়েছে ভাবনাচিন্তা। ‘শামুকখোল’ পাখি বাঁচাতে রবিবার ছুটে গিয়েছিলেন কোচবিহারের পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য। সেই পাখিদের বাসা ছিল যে গাছগুলিতে, তার ঠিক নিচেই রাস্তা সারাইয়ের জন্য পিচ গলানোর কাজ চলছিল। তাতে অসহায় হয়ে পড়েছিল পাখির দল। পরে, পুলিশের সুপারের নির্দেশে সে কাজ অন্যত্র করা হয়। ঘটনার পর থেকে নড়েচড়ে বসেছেন অনেকেই। পাখিদের বাসস্থান ‘নিরাপদ’ রাখার দায়িত্ব বন দফতরের। তা নিয়ে বন দফতর কী করছে, সেই প্রশ্ন উঠেছে।

কোচবিহারের এডিএফও বিজনকুমার নাথ অবশ্য জানান, পরিযায়ী পাখিদের বাসস্থান নিরাপদ করার জন্য একাধিক পদক্ষেপ করেছে বন দফতর। তিনি বলেন, ‘‘যে সম্পত্তি বন দফতরের, সেখানে সরাসরি কাজ করা হয়। কোচবিহারের রসিকবিল বা রসমতী ঝিলে প্রতি বছর হাজার হাজার পাখি আসে। সে পাখিদের নিরাপদ বাসস্থানের ব্যবস্থা করেছে বন দফতর। এ ছাড়া, অন্য কোথাও পরিযায়ী পাখি বাসা বাঁধলে, তাদের নিরাপত্তার দিকেও নজর রাখে বন দফতর।’’ তিনি জানান, গত বছর রসিক বিলে দশ হাজারের বেশি পরিযায়ী পাখি এসেছিল। পাখিরা যাতে সুরক্ষিত থাকে, সে জন্য সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানের আয়োজনও করা হয়।

কোচবিহারের বিমানবন্দর সংলগ্ন আইটিআই মোড়ে শামুকখোলের বসবাস দীর্ঘদিনের। সেখানে প্রচুর বড় বড় গাছ ছিল। বিমানবন্দরের কাজের জন্য সেখানে পঁচিশটি বড় গাছ কাটা হয়। পরিবেশপ্রেমী সংস্থা ‘ন্যাস গ্রুপ’-এর অরূপ গুহ বলেন, ‘‘শামুকখোল পরিযায়ী পাখি। কিন্তু ধীরে ধীরে কোচবিহারেও তারা স্থায়ী ভাবে বসবাস করতে শুরু করেছে। এই পাখি পরিবেশবান্ধব। স্থানীয় ভাবে অনেকে একে কদমা পাখি বলে। এশিয়ান ওপেন বিল স্টর্ক নামেও পরিচিত। এই পাখির মলের জন্য ম্যালেরিয়ার মশা দূরে থাকে। আবার এই পাখিরা কীটপতঙ্গ খেয়ে পরিবেশের উপকার করে। পাখিদের যাতে কোনও অসুবিধার মুখে পড়তে না হয়, সে দিকে সবার লক্ষ্য রাখা উচিত।’’

পরিবেশপ্রেমী সংস্থা ‘ন্যাফ গ্রুপ’ পাখিদের নিয়েও কাজ করে। সংগঠনের তরফে অনিমেষ বসু জানান, দেশীয় পরিযায়ী পাখি হচ্ছে শামুকখোল। বর্ষার আগে আগে দল বেঁধে এক জায়গায় বাসা বাঁধে তারা। এর পরে ডিম দিয়ে বাচ্চা বড় করে অক্টোবর মাসে ফিরে যায়। আবার কিছু জায়গায় স্থায়ী ভাবেও বসবাস করে ওই পাখি। তিনিও বলেন, ‘‘পাখিদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সে বিষয়ে প্রত্যেকের লক্ষ্য রাখা উচিত।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Migratory Bird Cooch Behar

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy