ব়্যাগিংয়ের প্রতিবাদ আলিপুরদুয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের বাইরে ছাত্র পরিষদের বিক্ষোভ। ছবি: নারায়ন দে।
কয়েক বছর আগে, র্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠেছিল কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ে। দিল্লিতে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের অ্যান্টি-র্যাগিং সেলে এক পড়ুয়ার অভিযোগ নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল জেলা। যাদবপুরে এক পড়ুয়ার মৃত্যুর পরে, কোচবিহারে র্যাগিং নিয়ে সতর্ক হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি। পুন্ডিবাড়িতে উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়েও কয়েক বছর আগে দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল। তার পর থেকে সতর্ক রয়েছে তারাও।
উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রদ্যুৎ পাল বলেন, ‘‘আমাদের অ্যান্টি র্যাগিং সেল এবং অ্যান্টি র্যাগিং স্কোয়াড দুটোই রয়েছে। সব সময়ে নজরদারি চালানো হয়। তবে র্যাগিং নিয়ে কোনও অভিযোগ আমরা পাইনি। কখনও তা পেলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আব্দুল কাদের সফেলি বলেন, ‘‘র্যাগিংয়ের অভিযোগ এখন নেই। আমরা হস্টেল চালু করেছি। সেখানে নজরদারির জন্য কমিটি রয়েছে।’’
কোচবিহারের উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেল অনেক দিনের। প্রায় ৬০০ ছাত্রছাত্রী। ওই হস্টেলে র্যাগিংয়ের অভিযোগ এখনও কেউ আনেননি। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরেও একটি অভিযোগের বাইরে কোনও অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে ছাত্রছাত্রীদের একটি অংশের দাবি, হস্টেল ও ক্যাম্পাস দুই জায়গাতেই নজরদারি আরও বাড়ানো উচিত। কারণ, সেখানে বহিরাগতদের আনাগোনাহয়। ক্যাম্পাসে নেশাদ্রব্য ব্যবহারের অভিযোও রয়েছে। এক ছাত্রের কথায়, ‘‘আমাদের যে বড়দের চোখ রাঙানির মুখে পড়তে হয়নি, তা নয়। তবে তেমন দুই-এক জনকেই পেয়েছি। সব সময়ের জন্য নজরদারি থাকলে ভাল হয়।’’
পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের বছর পাঁচেক আগে র্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠেছিল। এক পড়ুয়া ওই অভিযোগ করেন, ক্যাম্পাসে ছাত্র-ছাত্রীদের ফাঁকা ক্লাসে ডেকে অশ্লীল নাচ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। না পারলে ‘জরিমানা’ হয়। তা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। ওই কলেজের এক ছাত্রের কথায়, ‘‘এখন র্যাগিং হয় না। তবে সিনিয়র কয়েক জন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে চাপ তৈরির চেষ্টা করেন।’’ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কোচবিহার জেলার সাধারণ সম্পাদক উত্তম ঘোষের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে টিএমসিপি নজরদারি করে। সে জন্য র্যাগিংয়ের ঘটনা ঘটে না। এসএফআইয়ের কোচবিহার জেলা সম্পাদক প্রণয় কার্জির অভিযোগ, ‘‘তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরে ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের দাপট বেড়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy