ফাইল চিত্র
করোনা মোকাবিলায় বন্ধ হচ্ছে মাথাভাঙা এবং জলপাইগুড়ির দু’টি প্রেক্ষাগৃহ। তবে বাকিগুলি বন্ধ করা নিয়ে উত্তরের সংস্থাগুলি হল মালিকদের সংগঠনের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে। আজ, মঙ্গলবার কলকাতায় সংগঠনের বৈঠক। সেখানে যা সিদ্ধান্ত হবে, তাই মেনে চলা হবে বলে জানিয়েছে সংগঠনগুলি।
ফালাকাটা থেকে জলপাইগুড়ি— সব হল কর্তৃপক্ষই এ দিন পর্যন্ত সিনেমা চালিয়েছেন। কোচবিহারের মাথাভাঙা এবং জলপাইগুড়ি শহরের একটি হল আজ, মঙ্গলবার থেকে তাদের সব শো বন্ধ রাখছে। আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটায় একটি এবং কালচিনিতে দু’টি হল রয়েছে। জলপাইগুড়ি জেলায় কমবেশি ৮টি প্রেক্ষাগৃহ রয়েছে। জলপাইগুড়ি শহরেই পাঁচটি রয়েছে। সবক’টিতেই এ দিন সিনেমা চলেছে।
করোনাভাইরাস ঠেকাতে একসঙ্গে বেশি লোকের জড়ো হওয়া এড়াতে নির্দেশ দেওযা হয়েছে। প্রেক্ষাগৃহে একসঙ্গে বেশি মানুষ জড়ো হন বলে মুখ্যমন্ত্রী সোমবার হল মালিকদের পদক্ষেপ করতে অনুরোধও করেন। যদিও কোনও সরকারি নির্দেশ এখনও পাননি বলে হল মালিকদের দাবি। তবে জলপাইগুড়ির উকিলপাড়ার একটি মাল্টিপ্লেক্স আজ থেকে বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করেছেন। হলের কর্ণধার বিশান্ত চৌধুরী বলেন, “কোনও সরকারি নির্দেশ পাইনি ঠিকই। তবে মুখ্যমন্ত্রী অনুরোধ করেছেন। তাঁকে সম্মান জানিয়ে আমরা আপাতত সিনেমা হল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
সাবেকি হল মালিকদের বক্তব্য, ইদানীং সিনেমা হলে তেমন লোকও হয় না। জলপাইগুড়ির পান্ডাপাড়ার একটি সিনেমা হলে ১৩০০ আসন রয়েছে। যদিও কর্তৃপক্ষের দাবি, এক একটি শোয়ে গড়ে একশো জনের ভিড় হয়। হলের মালিক পরীক্ষিৎ ঘোষ বলেন, “তেরোশো জনের বসার জায়গায় একশো জনকে দূরে দূরে বসানোর ব্যবস্থাও করা যেতে পারে। তবে সরকারি ভাবে নির্দেশ পেলে এ নিয়ে পদক্ষেপ করব। সিনেমা হল বন্ধ করলেও, কর্মীদের বেতন দিতে হবে। এ বিষয়টাও মাথায় রাখতে হবে।”
জেলা প্রশাসনগুলির দাবি, প্রয়োজনে প্রেক্ষাগৃহের মালিকদের ডেকে আলোচনা হতে পারে। সিনেমা হলে ঢোকা বা বেরনোর সময়ে স্যানিটাইজ়ার দেওয়া যেতে পারে, সংক্রমণ রুখতে অন্যান্য ব্যবস্থাও রাখা যেতে পারে। তবে সবটাই নবান্নের নির্দেশের ওপর নির্ভর করছে বলে দাবি। আজ মঙ্গলবার নবান্নের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সের কথা রয়েছে বলে সূত্রের খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy