Advertisement
E-Paper

হলঘরে সভা যুব তৃণমূলের, সরব বিরোধী

বিরোধীদের প্রশ্ন, করোনা পরিস্থিতিতে মালদহ জেলায় শাসকদল প্রেক্ষাগৃহে সভা করার অনুমতি পেলে বিরোধী দলগুলিকেও একই ভাবে অনুমতি দিতে হবে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ অগস্ট ২০২০ ০৫:৫১
উধাও-বিধি: মালদহ কলেজ অডিটোরিয়ামে যুব তৃণমূলের সভায় উপচে পড়া ভিড়। নিজস্ব চিত্র

উধাও-বিধি: মালদহ কলেজ অডিটোরিয়ামে যুব তৃণমূলের সভায় উপচে পড়া ভিড়। নিজস্ব চিত্র

করোনা সংক্রমণ রুখতে বন্ধ অডিটোরিয়াম থেকে সিনেমা হল। সেই পরিস্থিতিতে রবিবার মালদহ কলেজ অডিটোরিয়ামে 'ইউথ ইন পলিটিক্স' কর্মসূচি করল তৃণমূল। সেখানে ছিলেন দলের জেলা সভাপতি মৌসম নুর, যুব সভাপতি প্রসেনজিৎ দাস। অভিযোগ, সেই সভায় সামাজিক দূরত্ববিধি না মানার পাশাপাশি অনেকেই মাস্ক ছাড়া ছিলেন।

বিরোধীদের প্রশ্ন, করোনা পরিস্থিতিতে মালদহ জেলায় শাসকদল প্রেক্ষাগৃহে সভা করার অনুমতি পেলে বিরোধী দলগুলিকেও একই ভাবে অনুমতি দিতে হবে। মালদহ কলেজ অডিটরিয়াম নিয়ন্ত্রণ করেন মালদহ কলেজ কর্তৃপক্ষ। কী ভাবে এই পরিস্থিতিতে অডিটোরিয়াম ভাড়া দেওয়া হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। জানা গিয়েছে, মালদহ কলেজের পরিচালন সমিতির প্রশাসক পদে রয়েছেন জেলাশাসক। কলেজ কর্তৃপক্ষ অবশ্য বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে।

দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন তৃণমূলের মালদহ জেলা যুব সংগঠনের উদ্যোগে ইয়ুথ ইন পলিটিক্স নামে একটি সাংগঠনিক কর্মসূচি ছিল। অভিযোগ, অডিটোরিয়ামে দলের যুব কর্মীদের ভিড়ে তিলধারণের জায়গা ছিল না। অডিটোরিয়ামের বাইরেও অনেকে দাঁড়িয়েছিলেন। যুব তৃণমূলের দাবি, এ দিনের সভায় জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা বিজেপি ও অন্যান্য বিরোধী দলের অন্তত ৭০০ কর্মী তৃণমূলে যোগ দেন।

এ নিয়ে সিপিএমের জেলা সম্পাদক অম্বর মিত্র বলেন, ‘‘তৃণমূল সরকার করোনা পরিস্থিতিতে সংক্রমণ রুখতে সমস্ত প্রেক্ষাগৃহ ও সিনেমাহল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। সেখানে শাসকদলের লোকজনই নিয়মের তোয়াক্কা না করে এ ভাবে সভা করলেন।’’ জেলা বিজেপি সভাপতি গোবিন্দ মন্ডল বলেন, ‘‘করোনা পরিস্থিতিতে হলঘরে সভা করার অনুমতি প্রশাসন দিচ্ছে না। অথচ শাসকদলকে কী ভাবে মালদহ কলেজ কর্তৃপক্ষ বা প্রশাসন হলভর্তি লোক নিয়ে সভা করার অনুমতি দিলেন তা আমাদের বোধগম্য হচ্ছে না। এর পরে আমরাও সভা করার অনুমতি চাইব। প্রশাসন না দিলে আন্দোলন হবে।’’

জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি প্রসেনজিৎ অবশ্য বলেন, ‘‘হলঘরে যে কর্মীরা ছিলেন তাঁদের সকলের মুখে মাস্ক ছিল। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে অনেককে হলঘরে ঢুকতে না দিয়ে বাইরে রাখা হয়েছিল। সেখানে ঢোকার আগে থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের পাশাপাশি স্যানিটাইজ়েশনের ব্যবস্থাও ছিল।’’ বিষয়টি নিয়ে মালদহ কলেজের অধ্যক্ষ মানসকুমার বৈদ্য মন্তব্য করতে চাননি। জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্রও কিছু বলেননি।

TMC Youth in Politics
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy