Advertisement
E-Paper

কিডনি চুরির অভিযোগ, তদন্তে ‘ঢিলেমি’

১৮ জুলাই কোচবিহার শহরের তেঁতুলতলা এলাকার একটি নার্সিংহোমের চিকিৎসকের বিরুদ্ধে তার একটি কিডনি কেটে নেওয়ার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলে সেখানকার কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের সকরেন আলিপুরদুয়ারের পশ্চিম শালবাড়ির বাসিন্দা সুরেন রায়৷ অভিযোগ এরপর প্রায় একমাস কেটে যেতে চললেও তার অভিযোগের তদন্ত এতটুকুও এগোচ্ছেনা অভিযোগের সত্যতা নিয়ে ডাক্তারি পরীক্ষা কারনো নিয়েও কোচবিহারের প্রশাসন তাঁকে ঘুরিয়ে চলেছেন বলে অভিযোগ সুরেনবাবু৷

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০১৮ ০৩:১১
সমবেত: আলোচনায় পশ্চিম শালবাড়ির বাসিন্দারা। নিজস্ব চিত্র

সমবেত: আলোচনায় পশ্চিম শালবাড়ির বাসিন্দারা। নিজস্ব চিত্র

চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কিডনি কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল প্রায় একমাস আগে৷ তারপর বিভিন্ন মহলে দায়ের হয়েছিল অভিযোগও৷ কিন্তু অভিযোগ, সেই অভিযোগের তদন্ত নিয়ে চলছে চরম ঢিলেমি৷ আর যার জেরে কোচবিহারের প্রশাসনের বিরুদ্ধে এ বার এককাট্টা হয়ে আন্দোলনে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে পাশের জেলা আলিপুরদুয়ারের একটি গ্রাম৷ তাই নয়, ওই গ্রামের তৃণমূল নেতৃত্ব বিষয়টি নিয়ে কোচবিহার জেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন৷

১৮ জুলাই কোচবিহার শহরের তেঁতুলতলা এলাকার একটি নার্সিংহোমের চিকিৎসকের বিরুদ্ধে তার একটি কিডনি কেটে নেওয়ার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলে সেখানকার কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের সকরেন আলিপুরদুয়ারের পশ্চিম শালবাড়ির বাসিন্দা সুরেন রায়৷ অভিযোগ এরপর প্রায় একমাস কেটে যেতে চললেও তার অভিযোগের তদন্ত এতটুকুও এগোচ্ছেনা অভিযোগের সত্যতা নিয়ে ডাক্তারি পরীক্ষা কারনো নিয়েও কোচবিহারের প্রশাসন তাঁকে ঘুরিয়ে চলেছেন বলে অভিযোগ সুরেনবাবু৷ আর তা ঘিরেই ক্ষুব্ধ সুরেনবাবুর পরিবার৷ আলিপুরদুয়ার- ১নম্বর ব্লকের পশ্চিম শালবাড়ির যে গ্রামে তিনি থাকেন, সেখানকার বাসিন্দারাও ফুঁসছেন৷ ঘটনার ন্যায্য বিচার চাইতে এককাট্টা হতে শুরু করেছেন তারা৷

গ্রামের বাসিন্দাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন স্থানীয় তৃমমূল নেতৃত্বও৷ দলের ব্লক সভাপতি বীরেন দাস বলেন, “সুরেনবাবু অভিযোগ জানানোর পর অনেকদিন কেটে গিয়েছে৷ ঘটনার তদন্ত এতটুকু তো এগোয়নি, বরং তদন্তের নামে কোচবিহারে ডেকে নিয়ে গিয়ে তাকে বারবার দুর্ভোগে ফেলা হয়েছে৷ এটা মানা যায় না৷ দ্রুত ঘটনার বিচার না হলে আমরা দলের তরফে কলকাতায় গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হব৷” যদিও কোচবিহারের পুলিশ সুপার ভোলানাথ পাণ্ডের দাবি, “সুরেনবাবুর অভিযোগ দায়ের করার পরই গোটা ঘটনাটি গুরুত্ব দিয়ে আমরা তদন্ত শুরু করেন৷ সেই তদন্ত এখনও চলছে৷”

সুরেনবাবুর অভিযোগও অবশ্য সরাসরি পুলিশের বিরুদ্ধে নয়৷ তাঁর অভিযোগ তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে৷ তিনি অভিযোগ করেন, “চিকিৎসক যে আমার একটি কিডনি কেটে নিয়েছেন, অভিযোগ জানানোর সময় তার তথ্য-প্রমাণ পুলিশকে দিয়েছি৷ তারপর পুলিশের মাধ্যমেই জানতে পারি, আমার অভিযোগের সত্যতা প্রমাণে সরকারিভাবে ডাক্তারি পরীক্ষা হবে৷ অথচ, সেই ডাক্তারি পরীক্ষার নামে একাধিকবার আমায় কোচবিহারে ডেকে নিয়ে গেলেও, এখনও পর্যন্ত সরকারিভাবে ন্যূনতম একটা আলট্রাসোনোগ্রাফিও করানো হল না৷ বিষয়টি নিয়ে পুলিশও যে জেলা স্বাস্থ্য দফতরকে চাপ দিচ্ছে, তেমন খবরও আমার কাছে নেই৷”

কোচবিহারের সিএমওএইচ সুমিত গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “অভিযোগটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ সেজন্য সুরেনবাবুর ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য আমরা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের দল পাঠাতে রাজ্যকে আর্জি জানিয়েছি৷ আশাকরি, দ্রুত সেই দল কোচবিহারে পৌঁছবে৷”

Investigation Kidney Administration Doctor
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy