সকালবেলায় চিকিৎসকরা প্রৌঢ়াকে মৃত বলে ঘোষণা করেছেন৷ অথচ, সৎকারের জন্য শ্মশানে নিয়ে যেতেই তিনি না কি বেঁচে উঠেছেন৷ এই অভিযোগকে ঘিরে শনিবার দুপুরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে৷ মৃতার পরিজনেরা এই অভিযোগ তুলে এক চিকিৎসকে শারীরিক নিগ্রহ করেন বলেও অভিযোগ৷ পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়৷
হাসপাতাল সূত্রের খবর, মৃতা প্রৌঢ়ার নাম শ্যামলা গোস্বামী (৬৪)৷ তাঁর বাড়ি আলিপুরদুয়ার শহরের সারদাপল্লি এলাকায়৷ বেলা নয়টা নাগাদ বাড়ির লোক প্রৌঢ়াকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন৷ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, সঙ্গে সঙ্গে মৃতার পরিজনরা হাসপাতাল থেকে দেহ নিয়ে যান৷
স্থানীয় সূত্রের খবর, দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ তাঁরা দেহ নিয়ে শ্মশানে পৌঁছন৷ প্রৌঢ়ার মেয়ে জামাই সাধন চক্রবর্তীর অভিযোগ, “সৎকারের আগে কিছু নিয়ম চলছিল৷ তখনই প্রৌঢ়ার এক ছেলে বুঝতে পারেন শাশুড়ির শরীর বেশ গরম৷ বাকিরা ছুটে এসে নাড়ি দেখেন৷ তাদেরও সন্দেহ হয়৷ সঙ্গে সঙ্গে একজন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসককে শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয়৷ পাল্স দেখে তিনিও বলেন, শাশুড়ি খানিকটা কোমায় রয়েছেন৷ এরপরি দ্রুত আমরা অ্যাম্বুল্যান্সে করে তাকে ফের হাসপাতালে নিয়ে যাই৷”
আর এরপরই হাসপাতালে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে৷ জীবিতকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন ক্ষুব্ধ জনতা৷ সকালবেলায় যে চিকিৎসক প্রৌঢ়াকে মৃত বলে ঘোষণা করেছিলেন তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের৷ শেষ পর্যন্ত আলিপুরদুয়ার থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামলায়৷ হাসপাতালের অন্যান্য চিকিৎসকরা ফের একবার পরীক্ষা করে প্রৌঢ়াকে মৃত বলে ঘোষণা করলে, তাঁর পরিজনরা দেহ নিয়ে শ্মশানে যান৷
আলিপুরদুয়ারের ডেপুটি সিএমওএইচ সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, ‘‘সকালেই প্রৌঢ়ার মৃত্যু হয়৷ তিনি বেঁচে রয়েছে বলে স্রেফ মনের ভুলে তাঁর পরিজনরা হাসপাতালে এসে যা করলেন, তা ভাবা যায় না৷’’ যদিও পরিজনেরা তা মানেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy