প্রতীকী ছবি।
কারও প্রশ্ন তিনি চিন থেকে ক্যুরিয়ারে জিনিসপত্র আনিয়েছেন, তা থেকে কি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়াতে পারে? কেউ আবার জানতে চাইলেন এখন সবসময় মাস্ক পরে থাকা উচিত কিনা। বুধবার উত্তরবঙ্গ সায়েন্স সেন্টার কর্তৃপক্ষ এবং উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের যৌথ উদ্যোগে করোনাভাইরাস নিয়ে একটি সচেতনতা কর্মশালা হয়েছিল। সেখানেই উঠে এলে নাগরিকদের করা এমনই সব প্রশ্ন। সেসবের উত্তর দিলেন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা। ভুল ধারণা যেমন দূর করালেন, তেমনই রোগ প্রতিরোধে কী কী করা উচিত তা নিয়েও পরামর্শ দিলেন তাঁরা।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে প্রশাসন যেমন চিন্তিত। তেমনই তা নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে সাধারণ বাসিন্দাদের মধ্যেও। সায়েন্স সেন্টারের এডুকেশন অফিসার বিশ্বজিৎ কুণ্ডু জানান সাধারণ বাসিন্দাদের আতঙ্ক কাটাতেই এই উদ্যোগ।
এ দিনের অনুষ্ঠানে করোনাভাইরাস নিয়ে আলোচনা করেন বিশেষজ্ঞরা। এরপরে মুখোমুখি প্রশ্নোত্তরের সুযোগও ছিল। তখনই চিকিৎসকদের সামনে পেয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন আতঙ্কিতদের অনেকে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ প্রবীর কুমার দেব, মেডিসিন বিভাগের প্রধান দীপাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়, কমিউনিটি মেডসিনের চিকিৎসক নীলাঞ্জনা ঘোষ, প্রসূতি বিভাগের চিকিৎসক তথা ডিন (স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্স) সন্দীপ সেনগুপ্ত। তাঁরাই নাগরিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
অধ্যক্ষ জানান, অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। সর্দি, কাশি, জ্বর হলেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ভাবার কারণ নেই বলেও আশ্বস্ত করেন তিনি। তিনি জানান, সম্প্রতি কেউ চিনে গিয়ে থাকলে এবং তারপরে তাঁর উপসর্গ দেখা দিলে তবেই সেটা সন্দেহের মধ্যে আনা যেতে পারে। মেডিসিন বিভাগের প্রধান বলেন, ‘‘সর্দি, কাশি হয়েছে মানে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এই ধারণা ঠিক নয়। তাতে লোকে আতঙ্কিত হয়ে পড়বে। সে জন্যই এই কর্মসূচি। চিন, তাইল্যান্ড এবং হংকংয়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কথা প্রথমে বলা হয়েছিল। এখন আরও কয়েকটি দেশ বেড়েছে। এই সব দেশে ১৪ দিনের মধ্যে কেউ গেলে, তাঁর উপসর্গ হলে আলাদা করে দেখতে হবে। তা ছাড়া চিন্তার কিছু নেই।’’
প্রশ্নোত্তরপর্বে শহরের এক বাসিন্দা অরুণকুমার পাল জানতে চান গবাদি পশু থেকে এই রোগ ছড়াতে পারে কি না? চিকিৎসকরা জানান, তেমন কোনও নজির নেই। বিষয়টি এখনও পরিষ্কার নয়। আর এক শ্যামাপ্রসাদ বসু জানতে চান, তিনি চিন থেকে ক্যুরিয়রে জিনিস আনিয়েছেন। তাতে সংক্রমণের সম্ভাবনা রয়েছে কি না তা নিয়ে তিনি চিন্তিত। চিকিৎসকরা জানান, জীবন্ত কিছুর মধ্যে ভাইরাস বেড়ে ওঠে, আর সেটা ১৪ দিনের মতো থাকতে পারে। তাই চিন থেকে আনা ওই জিনিসপত্রে জীবাণু না থাকার সম্ভাবনাই বেশি বলে জানান তিনি।
এক ছাত্রী রুনা সিংহ রায় প্রশ্ন করেন গার্গল করলে বা আদাকুচি খেলে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোখা যাবে কি না? চিকিৎসরা জানান, তেমন কিছুর প্রয়োজন পড়ছে না। তবে এই মরসুমে সাধারণ সর্দি, কাশিতে তা উপকার দেবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy