Advertisement
E-Paper

মাথায় যেন ধারাল কিছু বিঁধে গেল

দোকানটা রাত নটা নাগাদ বন্ধ করে বারান্দায় আত্মীয়দের সঙ্গে গল্প করছিলাম। হঠাৎ চিৎকার শুনি হাতি এসেছে। আমরা কথাবার্তা থামিয়ে চুপ করে বসে ছিলাম। প্রায় মিনিট দশেক পরে বারান্দায় বসে দেখতে পাই বন দফতরের গাড়ি ঢুকল। সার্চ লাইটের আলোয় দেখি বিশাল আকৃতির ৩০-৪০টি হাতির পাল।

বিপুল ওঁরাও (গুলিতে জখম)

শেষ আপডেট: ১২ জুন ২০১৬ ০৭:১৫
জখম বিপুল ওঁরাও।

জখম বিপুল ওঁরাও।

দোকানটা রাত নটা নাগাদ বন্ধ করে বারান্দায় আত্মীয়দের সঙ্গে গল্প করছিলাম। হঠাৎ চিৎকার শুনি হাতি এসেছে। আমরা কথাবার্তা থামিয়ে চুপ করে বসে ছিলাম। প্রায় মিনিট দশেক পরে বারান্দায় বসে দেখতে পাই বন দফতরের গাড়ি ঢুকল। সার্চ লাইটের আলোয় দেখি বিশাল আকৃতির ৩০-৪০টি হাতির পাল।

অনেকে ছোটাছুটি করছিল। তবে আমরা কোনও শব্দ করিনি। আচমকাই মনে হল পিঠে ও মাথার পিছনে কেউ যেন ধারাল কিছু বিঁধিয়ে দিল! চিৎকার করে লাফিয়ে উঠে দেখি আমার সর্ম্পকিত বউদি রীনা ওরাঁও কেমন করছে। ততক্ষণে দু’জনের শরীরে রক্ত ভরে গিয়েছে। দেখি বউদিও যন্ত্রণায় ছটফট করছেন। পরে বুঝতে পারি বনকর্মীদের ছোড়া ছররা গুলি লেগেছে। আমরা গোটা ঘটনা পড়শিদের জানাই। প্রায় এক-দেড় ঘণ্টা পরে দেখি বনকর্মীরা ফিরছেন। গ্রামের বাসিন্দারা তাঁদের গাড়ি ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখায়।

এক প্রকার বাধ্য হয়েই তাঁরা আমাদের হাসপাতালে ভর্তি করান। গুলি তো উপরে ছোড়ার কথা। কী ভাবে যে তা আমাদের গায়ে লাগল জানি না। ঘটনার তদন্ত করা উচিত।

—নিজস্ব চিত্র।

Fire dwellers Elephant
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy