Advertisement
E-Paper

মোথাবাড়িতে বাজার পথেই, নিত্য যানজট

জাতীয় সড়কের উপরেই গ়ড়ে উঠেছে বাজার। রয়েছে যাত্রীবাহী গাড়ির অস্থায়ী স্ট্যান্ডও। কাছেই রয়েছে রেলগেট। এর জেরে প্রায় সবসময়ই যানজটে থাকছে মালদহের ইংরেজবাজার শহরের প্রাণকেন্দ্র রথবাড়িতে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৬ ০১:৫৫
যানজটে ফেঁসে রথবাড়ি। — নিজস্ব চিত্র

যানজটে ফেঁসে রথবাড়ি। — নিজস্ব চিত্র

জাতীয় সড়কের উপরেই গ়ড়ে উঠেছে বাজার। রয়েছে যাত্রীবাহী গাড়ির অস্থায়ী স্ট্যান্ডও। কাছেই রয়েছে রেলগেট। এর জেরে প্রায় সবসময়ই যানজটে থাকছে মালদহের ইংরেজবাজার শহরের প্রাণকেন্দ্র রথবাড়িতে। বাসিন্দারা যানজটে জেরবার হলেও সমস্যা সমাধানে প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ করছে না বলে উঠেছে অভিযোগ।

পুলিশ ও প্রশাসনের উদাসীনতায় নিত্যদিনের এই যানজট সহ্য করতে হচ্ছে বলে দাবি করছেন, পাকুয়ার রঞ্জন সাহা, দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরের অজয় সরকারেরা। তাঁদের অভিযোগ, দিনের পর দিন জাতীয় সড়কের উপর দোকানের সমখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। তার সঙ্গে সরকারি, বেসরকারি বাস থেকে শুরু করে নানা যাত্রীবাহি গাড়ি অস্থায়ীভাবে স্ট্যান্ড তৈরি করে যাত্রী ওঠানামা করায় বলেও অভিযোগ করছেন বাসিন্দাদের একাংশ।

যদিও মালদহের পুলিশ সুপার অর্ণব ঘোষ বলেন, ‘‘রথবাড়ি এলাকায় বেআইনি গাড়ি পার্কিং করলে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। দীর্ঘক্ষণ গাড়ি দাঁড় করিয়ে যাত্রী ওঠানামা করার বিষয়েও পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।’’ যানজট মুক্ত করতে সব রকম চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। পাশাপাশি পুলিশি নজরদারির অভাবে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ক্রমশ দখল হয়ে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে বলে আশ্বাস দিয়েছে জেলা পুলিশ প্রশাসন। জাতীয় সড়কের একাংশ জবর দখলের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মালদহের জেলাশাসক শরদকুমার দ্বিবেদী।

ইংরেজবাজার শহরের প্রাণকেন্দ্র রথবাড়ি। রথবাড়ি এলাকার উপর দিয়ে গিয়েছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক। এখানে জাতীয় সড়কের প্রথম লেন দখল করে গড়ে উঠেছে বাজার। রোজ সকাল ৭টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত ওই রাস্তা আটকে চলে কেনাবেচা। এছাড়া জাতীয় সড়কের উপরে যাত্রাবাহী গাড়ির অস্থায়ী স্ট্যান্ড গড়ে ওঠায় ৪ লেনের জাতীয় সড়ক হয়ে উঠেছে দুই লেনের। তার মধ্যেই চলে যাত্রী ওঠানামা থেকে শুরু করে গাড়ি ঘোরানো। অভিযোগ, মালদহ-নালাগোলা, মানিকচক, চাঁচল রুটের অধিকাংশ গাড়ি গৌড়কন্যা বাস স্ট্যান্ডে যায় না। সেগুলি রথবাড়িতেই তাদের অস্থায়ী স্ট্যান্ড গড়ে তুলেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে বাস মালিকদের দাবি, গৌড়কন্যা স্ট্যান্ডে যাত্রী না হওয়ায় বাধ্য হয়েই রথবাড়ি স্ট্যান্ডে যাত্রীর অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয় তাঁদের। জাতীয় সড়কের ধারেই রয়েছে রেলগেট। সেখান দিয়ে কমপক্ষে ৫০ জোড়া ট্রেন চলাচল করে। যার ফলে পাঁচ মিনিট অন্তর রেলগেট পড়ায় থমকে যায় যাতায়াত। এর ফলে যানজট আরও কয়েকগুন বেড়ে যায় বলে দাবি স্থানীয়দের। বাসিন্দাদের দাবি, রথবাড়ি এলাকাকে যানজট মুক্ত করতে হলে প্রয়োজন সাবওয়ে। সেই দাহির প্রেক্ষিতে প্রশাসন জানিয়েছে, মাস দু’য়েক আগে সাবওয়ের জন্য জমি পরিদর্শন করা হয়েছে। টাকাও বরাদ্দ হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। সাবওয়ে তৈরির কাজ শীঘ্রই শুরু হবে বলেও দাবি রেল কর্তৃপক্ষের।

Traffic Car parking
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy