শুরু হয়েছিল আগের রাত থেকেই। তা কয়েক’শ গুণ বেড়ে গেল কালীপুজোর রাতে। রবিবার দুপুর থেকেই শব্দবাজির প্রকোপ বাড়তে থাকে। সেই সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে চলতে থাকে আতসবাজি পোড়ানো। রাত ১০টার পরে বহু এলাকা ধোঁয়ায় ঢাকা পড়ে যায়। গতবারে পুজোয় এই বাজির প্রকোপেই এক ব্যবসায়ীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছিল। তার পরেও রোখা গেল না কিছুই। শব্দ দূষণ ও বায়ু দূষণে এ বারেও হাঁসফাঁস করল রাজনগর কোচবিহার। তারস্বরে মাইকও বাজল বহু জায়গায়।
কিছু অভিযোগ পেয়ে পুলিশ-প্রশাসনের লোকেরা ছুটলেন বটে, কাজের কাজ হল না কিছুই। পরিবেশপ্রেমী সংস্থা ন্যাস গ্রুপের সম্পাদক অরূপ গুহ বলেন, “আসলে ওই পুজোর সময়ে কিছুটা প্রচার হয়। তার পরে আর হয় না। সারা বছর ধরে প্রচার করতে হবে। প্রয়োজনে হাসপাতালের হৃদরোগ থেকে চোখ-কানের বিভাগ থেকেও প্রচার করতে হবে।”
শুধু সদর কোচবিহার নয়, একই অবস্থা ছিল জেলার দিনহাটা, তুফানগঞ্জে, মাথাভাঙাতেও। পরিস্থিতি কিছুটা অন্যরকম ছিল মেখলিগঞ্জে। পরিবেশপ্রেমীদের অভিযোগ, শব্দ মাত্রা মাপার বা দূষণ মাপার তেমন কোনও পরিকাঠামো নেই জেলায়। নির্দিষ্ট কিছু বাধা ধরা নিয়ম নিয়েই ঘুরে বেড়াতে হয় পুলিশ-প্রশাসনের কর্তাদের। শব্দাসুরকে রোখা গেলনা তুফানগঞ্জেও। সুপ্রিম কোর্টের রায়কে উপেক্ষা করেই রাত দশটার পরেও তুফানগঞ্জ মহকুমার বিভিন্ন এলাকায় ফেটেছে নিষিদ্ধ শব্দবাজি।