Advertisement
E-Paper

ড্রোন আসছে বক্সায়

চোরাশিকার রুখতে এবার বক্সার জঙ্গলে আকাশ পথে নজরদারি চালাবে বনদফতর। তাছাড়া স্মার্ট পেট্রলিংয়ের মাধ্যমে বনকর্মীদের গতিবিধি ও জঙ্গলের চিত্র দফতরে বসেই দেখবেন বনকর্তারা। বক্সা, জলদাপাড়া, গরুমারা-সহ উত্তরবঙ্গের সমস্ত জঙ্গলে গন্ডার, হাতি ও অন্য বন্যপ্রাণীর চোরাশিকার রুখতে ড্রোনের বরাত দিল বনদফতর।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০১৬ ০২:০৭

চোরাশিকার রুখতে এবার বক্সার জঙ্গলে আকাশ পথে নজরদারি চালাবে বনদফতর। তাছাড়া স্মার্ট পেট্রলিংয়ের মাধ্যমে বনকর্মীদের গতিবিধি ও জঙ্গলের চিত্র দফতরে বসেই দেখবেন বনকর্তারা। বক্সা, জলদাপাড়া, গরুমারা-সহ উত্তরবঙ্গের সমস্ত জঙ্গলে গন্ডার, হাতি ও অন্য বন্যপ্রাণীর চোরাশিকার রুখতে ড্রোনের বরাত দিল বনদফতর। নিজস্ব সফটওয়্যারের মাধ্যমে উত্তরের জঙ্গলে শুরু হতে চলেছে এই আধুনিক নজরদারি।

চালকবিহীন ক্যামেরা লাগানো বিমান যার পোশাকি নাম ‘ড্রোন’ তা ব্যবহার করে ইতিমধ্যে অন্যত্র সাফল্য পেয়েছে বনদফতর। সুন্দরবনের জঙ্গলে বেশ কয়েক মাস ধরেই ড্রোনের পরীক্ষা মূলক ব্যবহার হয়েছে। বাঁকুড়ায় রোগগ্রস্ত হাতিকে ধরতেও সম্প্রতি সুন্দরবন থেকে ড্রোন নিয়ে গিয়ে সাফল্য মিলেছে। এবার উত্তরবঙ্গের বক্সা, জলদাপাড়া, গরুমারা ও মহানন্দা সহ বিভিন্ন বনাঞ্চলে ড্রোনের ব্যবহারে সবুজ সংকেত দিয়েছেন রাজ্যের শীর্ষ বনকর্তারা। রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপাল (বন্যপ্রাণ) প্রদীপ ব্যাস বলেন, “বক্সা ব্যাঘ্রপ্রকল্পের জঙ্গলে চোরাশিকার রুখতে ইতিমধ্যে একটি ড্রোনের বরাদ দেওয়া হয়েছে।’’ প্রায় দু’লক্ষ টাকা মূল্যের ড্রোনটি জঙ্গলের সেই সমস্ত জায়গায় যেতে পারবে যেখানে বনকর্মীদের যাতায়াতে সমস্যা রয়েছে। উত্তরবঙ্গের বাকি জঙ্গলগুলিতেও এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে বলে জানান তিনি। বনদফতরের নিজস্ব সফটওয়্যার বসানো স্মার্টফোন বিট ও রেঞ্জগুলিতে দেওয়া হবে বলে জানান প্রদীপবাবু। বনকর্তারা জানান, বনকর্মীরা জঙ্গলে যাওয়ার সময় স্মার্টফোনগুলি চালু করলেই আধিকারিকরা দেখতে পাবেন কোথায় যাচ্ছেন বনকর্মীরা। ওই ফোন থেকে এলাকার জীবজন্তু ও চোরাশিকারীদের ছবি তুলে পাঠাতে পারবেন বনকর্মীরা। সুন্দরবনে এই স্মার্ট পেট্রলিং ব্যবস্থা পরীক্ষামূলক ভাবে চালু আছে। চলতি আর্থিক বছরে তা উত্তরবঙ্গের সমস্ত জঙ্গলে চালু হয়ে যাবে বলে জানা গিয়েছে। জঙ্গলের কোন এলাকা নজরদারি বাইরে থাকছে বা কোন বিটের বনকর্মীরা শেষ এক মাস কোথায় কোথায় নজরদারি করেছে সমস্ত তথ্য জানা যাবে এই ব্যবস্থায়। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ক্ষেত্র অধিকর্তা উজ্জল ঘোষ বলেন, “ড্রোন ব্যবহার করলে নজরদারি চালানো অনেক সহজ হবে।”

বনাধিকারিকদের একাংশ জানান, বর্ষার সময় জঙ্গলে জলে কাদায় নজরদারি চালানো সমস্যার। হাতির পিঠেও সমস্ত এলাকায় সব সময় নজরদারি চালানো যায় না। কিন্তু ড্রোন সহজেই জঙ্গলের বিভিন্ন এলাকায় নজর রাখতে পারবে। ফলে কমবে চোরাশিকারির উপদ্রব।

Drones Poaching Buxa Forest Department
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy