— প্রতীকী চিত্র।
কংগ্রেস নেতার ছেলের হোটেলে বসেছিল মধুচক্রের আসর। স্থানীয় বাসিন্দারাই সেটা ধরলেন। বুধবার রাতে এ নিয়ে ধুন্ধুমার পরিস্থিতির সৃষ্টি হল মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। তার পর গ্রেফতার করা হয় চার জনকে। অভিযোগ খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, হোটেলটি দীর্ঘ দিনের। বেশ কিছু দিন ধরে তাঁরা লক্ষ্য করে আসছেন, প্রতিদিনই অপরিচিত পুরুষ-মহিলারা হোটেলে আসছেন। তাঁদের আচরণ, কথাবার্তা সন্দেহজনক ঠেকত। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য মনোজ ওঁরাও বলেন, ‘‘এখানে প্রতি দিন লোকজনর আনাগোনা দেখতে পেতাম। কিন্তু সঠিক বুঝতে পারিনি। বুধবার বেশ কয়েক জন হোটেলের ভিতরে ঢুকেছিল। ওদের দেখে সন্দেহ হয়েছিল। আমরা ভিতরে গিয়ে দেখি, ‘‘সেখানে অশ্লীল কাজ চলছে। দীর্ঘ দিন ধরে এই সব চলছে। কিন্তু আজ হাতেনাতে ধরা পড়েছে। আমরা চাই, হোটেলটা যেন সিল করা হয়।’’ একই অভিযোগ কিরণ ওঁরাও নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘‘প্রতি দিনই সন্ধ্যা নাগাদ হোটেলে কমবয়সি ছেলেমেয়ে ঢুকত। গভীর রাতে বার হত। আমরা সঠিক বুঝতে পারিনি। আজ (বুধবার) আমাদের দুর্গাপুজোর প্যান্ডেল বাঁধা চলছিল। তখন কয়েক জনকে হোটেলে ঢুকতে দেখে সন্দেহ হয়। আমরা কয়েক জন হোটেলে যাই। দেখি, অশ্লীল কাজকর্ম চলছে। হাতেনাতে ধরা পড়েছে ওরা। হোটেলমালিক রাজনৈতিক বলে দাপট দেখিয়ে এই সব কাজ চালাচ্ছিলেন।’’
ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক শোরগোল। হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেতা স্বপন আলির, ‘‘কংগ্রেসের চরিত্র আপনারা জানলেন। এরা তৃণমূলকে বিভিন্ন ভাবে বদনাম করার চেষ্টা করে। কিন্তু আজ কংগ্রেস নেতার হোটেলে মধুচক্রের আসর দেখা গেল।’’ হোটেলমালিক তথা কংগ্রেস নেতা মহম্মদ মোসলিমের অবশ্য দাবি, আপাতত তিনি হোটলের ভার এক ব্যবসায়ীকে দিয়েছিলেন। এ বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। ‘‘আমি হোটেলটা মাসখানেক আগে রাঙ্গাইপুরের এক জনকে ভাড়া দিয়েছিলাম। কিন্তু হোটেলে কাজ চলছে বলে সাদ্দাম অন্য কাউকে চাবি দিয়ে রেখেছিল। শুনতে পেলাম, হোটেলে একটা ঘটনা ঘটেছে। গ্রামবাসী আমার ছেলের নাম বলছে। কিন্তু আমি এবং আমার ছেলে এ বিষয়ে কিছু জানতাম না। আর তৃণমূল যা বলছে, সব মিথ্যা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy