বন্ধ ও ধুঁকতে থাকা চা বাগানগুলির শ্রমিকদের কল্যাণে তৈরি ১০০ কোটির তহবিল রাজ্যের চা বিষয়ক উপদেষ্টা কাউন্সিলের হাতে আসেনি বলে জানালেন পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব। তিনিই এখন উপদেষ্টা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান। বুধবার কাউন্সিলের শিলিগুড়ির দফতরে গিয়ে আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করে মন্ত্রী। পরে তিনি জানান, ওই টাকা খরচের জন্য রূপরেখা তৈরি হচ্ছে। এর জন্য শ্রমিকপক্ষ, মালিকপক্ষ এবং প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলা হবে। গৌতমবাবু বলেন, ‘‘১০০ কোটির তহবিল হাতে আসেনি। অর্থ দফতরে অনুমোদন করা রয়েছে। সব পক্ষকে নিয়ে বৈঠক করে রিপোর্ট তৈরি হবে। তার পরে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মত কাজ হবে।’’
২০১৫ সালের নভেম্বর মাসে মুখ্যমন্ত্রী চা বাগিচার জন্য ওই তহবিল গঠন করেন। পরের বছর, উপদেষ্টা কাউন্সিল তৈরি হয়। তিন দফায় কাউন্সিলের চেয়ারম্যানও বদল হয়েছে। কিন্তু ওই টাকা এখনও কেন খরচ হয়নি, বিভিন্ন মহলে সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ২০১৬ সালে কাউন্সিলের প্রথম চেয়ারম্যান হন এসজেডিএ-র চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তী। অক্টোবরে দায়িত্বে নেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গত মে মাসে দায়িত্ব নিয়েছেন গৌতমবাবু। সৌরভবাবু বিভিন্ন বাগান পরিদর্শনও করেছিলেন। পার্থবাবুও একাধিক বৈঠক করেন।
‘ওয়েস্ট বেঙ্গল টি প্ল্যান্টেশন ওয়াকার্স ওয়েলফেয়ার ফান্ড’ নাম দিয়ে ওই তহবিল তৈরি করেছে রাজ্য। রাজ্যের ৩১৬টি চা বাগানের মধ্যে ২৭৬টি খোলা রয়েছে। বাকি ৪০টি বাগানের মধ্যে ৩০টি বন্ধ। বাকিগুলি সমবায় করে চলছে। তহবিলের কোনও হদিশই মেলেনি বলে অভিযোগ করেছেন চা শ্রমিক সংগঠনগুলির যৌথ মঞ্চের অন্যতম নেতা অলোক চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘‘দু’বছর হতে চলল, টাকাই হাতে পায়নি, কাজ কী করবে।’’ আর মালিকপক্ষের সংগঠন টাই-র তরাইয়ের সেক্রেটারি সুমিত ঘোষ বলেন, ‘‘১০০ কোটির তথ্য আমাদের হাতে নেই। তাই কিছু বলতে পারছি না।’’
এ দিন কাউন্সিলের দফতরে কর্মী নিয়োগ, পরিকাঠামো তৈরি নিয়ে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরে চিঠি দেওয়ার কথা বলেছেন গৌতমবাবু। তা নিয়ে দফতরের মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেছেন, ‘‘মন্ত্রিগোষ্ঠীর অনুমোদন নিয়ে নতুন কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হবে।’’
সরকারি সূত্রের খবর, ১০ জুলাই দার্জিলি, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারের প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক হবে। ১৫ জুলাই বাগানের মালিকপক্ষ ও তাঁদের সংগঠনগুলির সঙ্গে বৈঠকের পর ১৭ জুলাই শ্রমিক সংগঠনগুলিকে নিয়ে বসবে কাউন্সিল। তার পরে মাসের শেষে কলকাতায় কাউন্সিলের ১১ পূর্ণাঙ্গ কমিটির বৈঠক ডাকা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy