তৈরি: জলপাইগুড়িতে সার্কিট বেঞ্চের ভবন। নিজস্ব চিত্র
আগামী মাসেই জলপাইগুড়িতে সার্কিট বেঞ্চের অস্থায়ী ভবনে শুনানি শুরু হতে চলেছে বলে জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার প্রশাসনিক সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী বেঞ্চ শুরুর দিনও ঘোষণা করে দেন। তিনি বলেন, “আগামী ১৭ অগস্ট জলপাইগুড়িতে সার্কিট বেঞ্চের উদ্বোধন হচ্ছে। চল্লিশ বছরের অপেক্ষার অবসান। কাজ শুরুর দিন আমিও কিছুক্ষণ জলপাইগুড়িতে থাকব।”
মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভা শুরুর চব্বিশ ঘণ্টা আগেই কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি জ্যোর্তিময় ভট্টাচার্য তিন জন বিচারপতি এবং দু’জন রেজিস্ট্রার-সহ ৬ জনের প্রতিনিধি দলকে নিয়ে জলপাইগুড়িতে পরিদর্শন করে গিয়েছেন। অস্থায়ী আদালত ভবন, বিচারপতিদের আবাসনে বেশ কিছু রদবদলের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই সব কাজই বারবার দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি। তাতেই প্রশাসনিক মহলে জল্পনা তৈরি হয়, তা হলে খুব শীঘ্রই হয়তো অস্থায়ী ভবনে বেঞ্চের কাজ শুরু হবে। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় এ দিনের গোনার আপাতত সেই জল্পনার অবসান হল।
২০১১ সালে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। পরের বছরই বছর জলপাইগুড়িতে সার্কিট বেঞ্চের স্থায়ী ভবনের শিলান্যাস হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও হাইকোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি জয়নারায়ণ পটেলও সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তার পর স্থায়ী ভবনের নকশা নিয়ে হাইকোর্টের আপত্তিতে কাজ থমকে যায়। কয়েক বছর ধরে নকশায় রদবদলের পরে হাইকোর্টের সম্মতি মেলে গত বছর। প্রায় সাড়ে তিনশো কোটি টাকা বরাদ্দে জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া পাহাড়পুরে ৪০ একর জমিতে বেঞ্চের স্থায়ী ভবন তৈরির টেন্ডার প্রক্রিয়া চলছে। এই পরিস্থিতিতে অস্থায়ী ভবনে হাইকোর্টের বেঞ্চের কাজ শুরুর প্রক্রিয়ার সূত্রপাত। যতদিন না স্থায়ী ভবনের কাজ শেষ হচ্ছে ততদিন অস্থায়ী ভবনে বেঞ্চের শুনানি চলবে বলে রাজ্য সরকার সূত্রের খবর। এ নিয়ে হাইকোর্টের সম্মতি মেলার পরেই অস্থায়ী ভবন সংস্কারের কাজ শুরু হয়।
এ দিকে গত রবিবার জলপাইগুড়িতে এসে হাইকোর্টে পর্যাপ্ত সংখ্যক বিচারপতি নেই বলে জলপাইগুড়ি বার অ্যাসোসিয়েশনকে জানিয়েছিলেন হাইকোর্টের প্রতিনিধিরা। প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিচারপতি না পেলে সার্কিট বেঞ্চ চালানো কঠিন আইনজীবীরা মনে করেন। কারণ আন্দামানেও একটি সার্কিট বেঞ্চ চালাতে হয় কলকাতা হাইকোর্টকে।
তবে রাজ্যের এক আধিকারিকের কথায়, “মুখ্যমন্ত্রী যখন বলেছেন, তখন সব দিক বিবেচনা করেই নিশ্চই বলেছেন।” এ দিন বৈঠকের শেষে জেলার বিভিন্ন থানার আইসি-দের দাঁড় করিয়ে এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি জানতে চান। সে সময় জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার আইসি বিশ্বাশ্রয় সরকারকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আপনার শহরে তো সার্কিট বেঞ্চ হচ্ছে, কাজ বাড়বে কিন্তু। সবাই আসছে, দেখে নেবেন। আদর আপ্যায়ন করতে হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy