Advertisement
E-Paper

বানের ধাক্কায় হেলে গেল শিশুশিক্ষা কেন্দ্র

ঝোরার জল হড়পা বানে উপচে গিয়ে চারদিকে ছড়িয়ে গিয়ে নরম মাটি গ্রাস করে

সব্যসাচী ঘোষ

শেষ আপডেট: ২৫ মে ২০১৮ ০৪:১৬

একরাতের বৃষ্টি থেকে হড়পা বান। তার জেরেই ক্ষতিগ্রস্ত হল জাতীয় সড়ক, জলের তোড়ে হেলে পড়ল শিশুশিক্ষা কেন্দ্র।

বুধবার রাতে বৃষ্টিতে নাগরাকাটায় পাহাড়ি ঝোরার জলের তোড়ে উড়ে যায় জাতীয় সড়কের একাংশ। বৃহস্পতিবার সকালে দেখা যায় লুকসান এলাকার বালুখোলা ঝোরার জলে ৩১সি জাতীয় সড়ক বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। চালসা থেকে নাগরাকাটা লুকসান এলাকায় গত কয়েক মাসধরেই জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজ চলছে। সেই কাজের অঙ্গ হিসাবে ছোট কালভার্টগুলোকে ভেঙে দিয়ে চওড়া করে বানাবার কাজও চলছে। যাতায়াতের জন্যে প্রতিটি নির্মীয়মাণ কালভার্টের পাশে বালি মাটির কাঁচা পথ তৈরি করা হয়েছে। বালুখোলা ঝোরার কালভার্টটিও সেরকমই একটি নির্মীয়মাণ কালভার্ট। এই এলাকার খুব কাছেই ভুটানের বিস্তীর্ণ পাহাড়ি এলাকা। সেখান থেকেই বৃষ্টির জল হড়পা বানের আকার নিয়ে ঝোরা দিয়ে নেমে আসে। মুহূর্তেই কাঁচা বালি মাটির পথ উড়ে যায়।

বানারহাট, বীরপারা, জয়গাঁ, আলিপুরদুয়ার জেলার বিস্তীর্ণ বাজার এলাকার ব্যবসায়ী, বাসিন্দারা এই সড়ক পথের মাধ্যমেই মালবাজার হয়ে শিলিগুড়ি যান। আচমকাই এই বিপত্তিতে তাই স্বাভাবিকভাবেই ভোগান্তি হয়। দুর্ভোগে পড়তে হয় অনেককেই। ছোট গাড়ি যদিও লুকসান বাজারের ভিতর দিয়ে চা বাগান এলাকা দিয়ে ঘুরে যাতায়াত করতে পারছেন, কিন্তু বড় যানবাহন কে চালসা মোড় ও বানারহাট মোড় এলাকাতেই ময়নাগুড়ি এবং গয়েরকাটা এলাকা দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। নাগরাকাটা থানার ওসি সৈকত ভদ্র জানান “পুলিশ কর্মীরা এলাকায় রয়েছেন গাড়িগুলোকে তাদের গন্তব্য জেনে নির্দিষ্ট পথের দিক নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।” মালবাজারের মহকুমাশাসক সিয়াদ এন বলেন, “পুরো বিষয়টি নিয়ে সড়ক বিভাগের আধিকারিক পর্যায়ে কথা হয়েছে। দ্রুততার সঙ্গে রাস্তা খুলে দেওয়ার কাজ চলছে।” আজ, শুক্রবার যান চলাচল এই পথে ফের স্বাভাবিক হবে বলেই বাস্তুকারদের আশা।

হড়পা বানে এ দিন সকালে নাগরাকাটার সুখানিঝোরায় জলের তোড়ে একটি শিশুশিক্ষা কেন্দ্র হেলে পড়ে। ভুটান পাহাড়-সহ ডুয়ার্সের চা বলয়ে বুধবার রাতে ব্যাপক বৃষ্টি হওয়ার জেরে চা বাগানের সব কটি ঝোরা ফুলে ফেঁপে ওঠে। সেই জলের অনেকটাই আবার নাগরাকাটার সুখানিঝোরা এলাকায় ঢুকে পরে। ঝোরার জল হড়পা বানে উপচে গিয়ে চারদিকে ছড়িয়ে গিয়ে নরম মাটি গ্রাস করে। এর ফলেই কালভার্ট ভেঙে গিয়ে শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের পাকা বাড়ির নিচের মাটি সরে যায়। ফলে বাড়িটি হেলে যায়।

খবর পেয়ে দ্রুতই ব্লক পর্যায়ের আধিকারিকেরা আসেন। তবে শিশুশিক্ষা কেন্দ্রটিকে রক্ষা করা সম্ভব নয় বলেই প্রাথমিক মত তাঁদের। এই সুখানিঝোরার জলেই দু’বছর আগে পুজোর মুখে জমজমাট হাটে আচমকা হড়পা বান আসে। সে বারে লক্ষাধিক টাকার ব্যবসার জিনিস, পুজোর নতুন জামাকাপড় ভেসে গিয়েছিল। এ বারের হড়পা বানেও সেদিনের স্মৃতিই অনেকের কাছেই ফিরে এসেছে। মে মাসের এই প্রাক বর্ষার সময়েই যদি এই অবস্থা হয় তাহলে ভরা বর্ষার সময়ে কী হবে তা নিয়েও উদ্বেগ বাড়ছে নাগরাকাটায়।

childrens education centre shiliguri national highway
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy