মিছিলে স্লোগান তুলে হাঁটলেন। পিকআপ ভ্যানে চড়ে হুঁশিয়ারি দিলেন, কোনও ভাবেই শিলিগুড়ি পুরসভা ‘দখলে’ নিতে পারবে না তৃণমূল। প্রয়োজনে প্রাণ দিয়েও রক্ষা করবেন বলে হুঁশিয়ারি দিলেন মেয়র অশোক ভট্টাচার্য।
বৃহস্পতিবার সিপিএমের তরফে প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করা হয়েছিল শিলিগুড়িতে। রাজ্য সরকার ক্রমাগত শিলিগুড়ি পুরসভাকে আর্থিক ভাবে বঞ্চনা করছে, এই অভিযোগ তুলেই প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছিল। যদিও বাস্তবে তা দাঁড়াল, তৃণমূলকে পাল্টা হুমকি এবং রাজ্য সরকারের উপর চাপ বাড়ানোর কৌশলে।
মিছিলের আগাগোড়া ছিলেন অশোকবাবু। ছিলেন দার্জিলিং জেলা সিপিএমের সম্পাদক জীবেশ সরকারও। সিপিএম নেতারা স্মারকলিপি দিতে পৌঁছলে, মহকুমা শাসক নিজের ঘরে ছিলেন না। অফিস থেকে অন্য এক ম্যাজিস্ট্রেটের হাতে স্মারকলিপি দিতে অনুরোধ করা হয়। ক্ষুব্ধ সিপিএম নেতারা মহকুমা শাসকের ঘরের সামনেই বসে পড়েন। পরে কাজ সেরে মহকুমা শাসক পানিক্কর হরিশঙ্কর ঘরে এলে সিপিএম নেতারা তাঁকে স্মারকলিপি দেন। অশোকবাবু বলেন, ‘‘রাজ্যের প্রশাসন যদি গণতান্ত্রিক নিয়ম রীতি না মানেন, তবে চাপ দিয়েই মানাতে হবে।’’
এ দিন বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ শিলিগুড়ির মহানন্দা সেতু লাগোয়া এলাকা থেকে মিছিল বের হয়ে হিলকার্ট রোড হয়ে মহকুমা শাসকের দফতর তথা কোর্ট চত্বরে পৌঁছয়। বাম নেতারা দাবি করেছেন, সম্প্রতি এত বড় মিছিল হয়নি।
মিছিলের সামনে মাইক বেঁধে একটি পিক আপ ভ্যানে উঠে যান মেয়র। স্মারকলিপি দিতে যাওয়া প্রতিনিধিদের সঙ্গে মহকুমা শাসক দেখা করেনি খবর পেয়ে পিকআপ ভ্যান থেকেই অশোকবাবু বক্তৃতা শুরু করেন। তিনি হুমকি দিয়ে বলেন, ‘‘এই মিছিল দেখে তৃণমূলের বোঝা উচিত যে, বোর্ড ভাঙা যাবে না। রাজ্য সরকারও বুঝতে পারবে, এত মানুষ যখন সঙ্গে রয়েছে, তখন আর্থিক বঞ্চনা বেশি দিন চালানো সম্ভব নয়।’’
গত বছর পুরবোর্ডের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্রমাগত আর্থিক বঞ্চনার অভিযোগ করে চলেছেন অশোকবাবু। বোর্ড ভাঙার চেষ্টাও চলছে বলে অভিযোগ করেছেন। শরিক ফরওয়ার্ড ব্লকের এক কাউন্সিলর ইতিমধ্যেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। পুরসভায় আপাতত সংখ্যালঘু বাম বোর্ড। অশোকবাবুর অভিযোগ, ‘‘নানা কায়দায় ভয় দেখিয়ে হুমকি দিয়ে তৃণমূল বোর্ড ভাঙতে চাইছে। তা সম্ভব নয়। মানুষ রুখে দেবে।’’
শিলিগুড়িগুড়ি পুরসভা নিয়ে লাগাতার কর্মসূচি রয়েছে সিপিএমের। দলের জেলা সম্পাদক জীবেশবাবু জানিয়েছেন, আজ শুক্রবার এসজেডিএ অফিসের সামনে অবস্থান রয়েছে বামেদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy