Advertisement
E-Paper

ট্রেন থেকে শিশু উদ্ধার, পাচারের সন্দেহ

চলন্ত ট্রেনের সাধারণ কামরা থেকে এক সদ্যোজাত শিশুকে উদ্ধার করল রেলওয়ে সুরক্ষা বাহিনী। বৃহস্পতিবার রাতে মালদহ-জামালপুর আপ ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০১৬ ০২:১৬

চলন্ত ট্রেনের সাধারণ কামরা থেকে এক সদ্যোজাত শিশুকে উদ্ধার করল রেলওয়ে সুরক্ষা বাহিনী। বৃহস্পতিবার রাতে মালদহ-জামালপুর আপ ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় মালদহ টাউন স্টেশনে। পরে রেলওয়ে সুরক্ষা বাহিনীর জওয়ানরা শিশুটিকে রেলপুলিশের হাতে তুলে দেয়। ওই রাতেই উদ্ধার হওয়া শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

মালদহের জিআরপির আইসি কৃষ্ণগোপাল দত্ত বলেন, ‘‘শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। চিকিৎসার পর চাইল্ড লাইনের হাতে তুলে দেওয়া হবে। ট্রেনের কামরায় শিশুটিকে কে বা কারা ফেলে গিয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’’

বৃহস্পতিবার সকালে ইংরেজবাজার শহরের কেজে স্যানাল রোড এলাকায় পুরসভার জঞ্জালের ভ্যাট থেকে সদ্যোজাত এক শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় শহর জুড়ে হইচই পড়ে যায়। কারণ রাজ্য জুড়ে শিশু পাচার নিয়ে হইচই চলছে। এরই মাঝে জেলাতে একের পর এক সদ্যোজাত শিশু উদ্ধারের ঘটনায় মালদহে শিশু পাচারের যোগ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ প্রশাসন। শহরের ভ্যাট থেকে মৃত সদ্যোজাত শিশু উদ্ধারের দিনই রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ রেলের কামরা থেকে সদ্যোজাত শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।

রেল পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদহ-জামালপুর আপ ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসের সাধারণ কামরায় এক সদ্যোজাত শিশুটিকে পড়ে থাকতে দেখেন কর্তব্যরত আরপিএফ জওয়ানেরা। বিহারের বাহারুয়া থেকে শিশুটিকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। জানা গিয়েছে, কমপক্ষে পাঁচ দিনের হবে শিশুটি। ট্রেনটি রাতে মালদহ টাউন স্টেশনে পৌঁছালে আরপিএফ জওয়ানেরা শিশুটিকে রেল পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

আরপিএফের এক অফিসার বলেন, প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে শিশুটিকে বিহার থেকে পাচার করে নিয়ে আসা হচ্ছিল। ট্রেনের মধ্যে নিরাপত্তা রক্ষীদের দেখে ভয়ে হয়তো শিশুটিকে ফেলে পালিয়ে যায় কেউ বাবা কারা। পুরো বিষটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের এসএনসিইউ বিভাগে শিশুটির চিকিৎসা চলছে। হাসপাতালের সুপার তথা সহ অধ্যক্ষ অমিত কুমার দাঁ বলেন, ‘‘ঠান্ডার জন্য শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকায় শিশুটিকে ওই বিভাগে রাখা হয়েছে। এখন তার অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।’’

Trafficking
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy