প্রতীকী চিত্র।
নেপালের চায়ের প্রভাব, ছোট চা-বাগানের সঙ্গে বড় চা-বাগানের উৎপাদন খরচের ফারাক, বাগানের জমি জবরদখলের চেষ্টার মতো বিভিন্ন বিষয় সমস্যা বাড়িয়েছে তরাইয়ে। শুক্রবার ‘তরাই ব্রাঞ্চ ইন্ডিয়ান টি অ্যাসোসিয়েশন’ (টিবিআইটিএ) তাদের বার্ষিক সাধারণ সভায় তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল। সংগঠনের কর্মকর্তাদের বক্তব্য, চা রফতানি বাড়েনি এবং তার প্রভাব পড়ছে বড় বাগানে। এ দিন সংগঠনের চেয়ারম্যান সঞ্জীবকিসান গুপ্ত তাঁর বক্তব্যে এই দাবি করেন।
সভায় ‘ইন্ডিয়ান টি অ্যাসোসিয়েশন’-এর চেয়ারম্যান নয়নতারা পালচৌধুরী শিলিগুড়ি নিলাম কেন্দ্রে চায়ের দাম বৃদ্ধি না পাওয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। সেই সঙ্গে জানান, বাইরের চা কম দামে বিক্রি হলে, দেশের চায়ের বাজার নষ্ট হবে। তিনি যথাযথ রফতানি শুল্কের দাবি তোলেন।
টিবিআইটিএ-র চেয়ারম্যানের বক্তব্য, ক্ষুদ্র চা-চাষিদের ছোট বাগানের উৎপাদন খরচ বড় বাগানের চেয়ে অনেক কম এবং বড় বাগানে শ্রমিকদের বর্ধিত মজুরি ও অন্য সুবিধা দিতে হলেও, ছোট বাগানের মালিকদের তা হয় না। তিনি দাবি করেন, ছোট বাগানগুলো মোট পাতা উৎপাদনের ৫৪ শতাংশ দেয় এবং ছোট বাগান নিয়মনীতি মেনে না চললে, বিপাকে পড়বে বড় বাগান। তিনি জোর দেন পদ্ধতি মেনে গুণগত মানের চা-পাতা তৈরির উপরে।
নেপালের চায়ের প্রভাবে দার্জিলিং চায়ের বাজার নষ্ট হওয়া নিয়েও এ দিন সভায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। সংগঠনের চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেপাল এবং কেনিয়ার চা আমদানির শুল্ক বৃদ্ধির দাবি তুলেছি আমরা। বাগানের জমি জবরদখল হওয়ার বিষয়টিও উদ্বেগজনক। প্রশাসনের সহযোগিতা জরুরি।’’ সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে, তরাইয়ের ২৪টি ‘শেড টি-গার্ডেন’ রয়েছে তাদের সঙ্গে। গত নভেম্বর পর্যন্ত উৎপাদন ১৫৬.৭৫ মিলিয়ন কেজি। গত বছরের তুলনায় খানিকটা বেশি। সংগঠনের সম্পাদক রানা দে বলেন, ‘‘বাগানে হাতি, চিতবাঘের হানায় ক্ষয়ক্ষতি নিয়েও চিন্তিত আমরা। বর্ষায় ঝোরা বা সংলগ্ন নদীর জলে বাগান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সরকারি সাহায্যের জন্য আবেদন করা হয়েছে।’’
ক্ষুদ্র চা-চাষিদের সর্বভারতীয় সংগঠন ‘কনফেডারেশন এবং ইন্ডিয়ান স্মল টি গ্রোয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর সভাপতি বিজয়গোপাল চক্রবর্তী জানান, উন্নত মানের চা-পাতা উৎপাদনের লক্ষ্যে ইন্ডিয়ান টি অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে যৌথ ভাবে একটি প্রকল্পে কাজ হচ্ছে। তাঁর দাবি, বড় বাগানের উৎপাদন মার খেলে, অনেক সময় তারা ছোট বাগানের পাতা নিয়ে কারখানার উৎপাদন স্বাভাবিক রাখছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy