সুইডেন চলচ্চিত্রকার বার্গম্যানের ছবির রেস্ট্রোস্পেকটিভ খুব শীঘ্রই দেখানো হবে শিলিগুড়িতে। সোমবার থেকে শিলিগুড়ি দীনবন্ধু মঞ্চে শুরু হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফিল্মোৎসব। তার আগে এ কথা জানান শিলিগুড়ি সিনে সোসাইটির সম্পাদক প্রদীপ নাগ। অন্য ছবির সঙ্গেই বার্গম্যানের জন্মশতবর্ষে তার ছবি ‘সাইলেন্স’ রাখা হয়েছে সাত দিন ব্যাপী ফিল্মোৎসবের তালিকায়। প্রদীপবাবু বলেন, ‘‘প্রচুর ছবি এসেছে। তার জন্য বার্গম্যানের বেশি ছবি এ বার দেখানো যাচ্ছে না। তবে আমরা আলাদা করে শীঘ্রই তাঁর ৬টি ছবির প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করব।’’
সরকার উদ্যোগে না হলেও প্রতিবছরই শিলিগুড়িতে এই আন্তর্জাতিক ফিচার ছবির উৎসব আয়োজন করে আসছে শিলিগুড়ি সিনে সোসাইটি। এ বছর তা ১৯তম বর্ষে পা দিচ্ছে। অরিন্দম শীলের ছবি ‘আসছে আবার শবর’ দিয়ে শুরু হবে উৎসব। চলবে আগামী ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত। সোসাইটির সম্পাদক প্রদীপবাবু জানিয়েছেন, তাঁরা নিজেদের উদ্যোগেই প্রতি বছর এই উৎসবের আয়োজন করেন। তথ্য সংস্কৃতি দফতরের তরফে কেবল হলটি দেওয়া হয়। সরকারি উদ্যোগে উৎসব বন্ধ হয়ে গিয়েছে কয়েক বছর হল। সোসাইটি উদ্যোগ না নিলে শিলিগুড়ির ফিল্ম অনুরাগী মানুষ উৎসবের স্বাদ থেকে হয়তো বঞ্চিত থেকে যেত বলে মনে করছেন শিলিগুড়ির একাধিক সিনেমা দর্শক। প্রদীপবাবুরা তাঁদের আবেদন করেছেন, ‘‘যাতে সিনেমা হলে এসেই মানুষ সিনেমা দেখেন, তার জন্য এই প্রয়াস বছরের পর বছর নেওয়া হচ্ছে।’’
এ বছর মোট ১৭টি ছবি দেখানো হবে উৎসবে। তার মধ্যে বাংলা ছবি থাকছে মোট ৬টি। সুইডেন ছাড়াও অস্ট্রেলিয়া, সুইৎসারল্যান্ড, জার্মানি, সাইবেরিয়া, ব্রিটেন, স্পেন এবং নেপাল থেকে আসা ছবি প্রদর্শিত হবে উৎসবে। রাজ্যে প্রথমবার প্রদর্শিত হচ্ছে এরকম চারটি বাংলা ছবিও রয়েছে। ‘বিসর্গ’ প্রদর্শিত হবে আগামী ২৫ নভেম্বর। রয়েছে শিলিগুড়ির ছেলে তথা পরিচালক অরুনাভ খাসনবিশের ছবি। কলকাতা ফিল্মোৎসবে প্যানোরামা গ্রুপে নির্বাচিত হয়েছিল ৯০ মিনিটের ফিচার ছবিটি। অরুনাভবাবু বলেন, ‘‘এখন কলকাতায় থাকি। কিন্তু শিলিগুড়ির এই ফিল্মোৎসব থেকেই আমার সিনেমার সঙ্গে বেড়ে ওঠা। আমার মনে হয়েছে, শিলিগুড়ির মানুষ আরও অনেক বেশি ছবি দেখতে চান। কিন্তু সরকারি সাহায্য পেলে তা আরও ভাল ভাবে সম্ভব।’’
সিনে সোসাইটির তরফে জানানো হয়েছে, সোসাইটির উদ্যোগে কিছু দিন আগে রামকিঙ্কর হলে শেষ হয়েছে ষষ্ঠ আন্তর্জাতিক শর্ট ও ডকুমেন্টারি ফিল্মোৎসব। ৬৬টি ছবির মধ্যে শ্রেষ্ঠ ছবি নির্বাচিত হয়েছে সুবর্ণা সেঁজুতির ছবি ‘মীনালাপ’। ‘রিটেন বাই’ ছবির জন্য শ্রেষ্ঠ পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন কঙ্কণা চক্রবর্তী। শ্রেষ্ঠ ডকুমেন্টারি ছবি নির্বাচিত হয়েছে বিজয় চৌধুরীর ‘খাওতা’। শ্রেষ্ঠ সিনেমাটোগ্রাফির জন্য নির্বাচিত হয়েছে আকাশ শেঠির ছবি ‘এথির ভারামবুকাল’। শ্রেষ্ঠ জুরি পুরষ্কার পেয়েছে, ছোট ফিল্ম ‘ইস ইট গুড টু রান-অ্যাওয়ে?’ এবং ডকুমেন্টারি ‘ট্রু ফলস অন্যান্ড এ রেভল্যুশন’।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy