‘স্কুলের ব্যাগটা বড্ড ভারী, আমরা কি আর বইতে পারি/ এও কি একটা শাস্তি নয়, কষ্ট হয়, কষ্ট হয়’- কবীর সুমনের গানের কথাগুলি একেবারেই বাস্তব বলে মেনে নিয়ে এই কষ্ট লাঘবে জেলা শাসক এবং পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ চাইল আলিপুরদুয়ারের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘মানবিক মুখ’। বুধবার তাঁরা লিখিত ভাবে এই দাবি জানান।
তাঁদের অভিযোগ, সরকারি অথবা বেসরকারি-সব স্কুলেই শিশুদের ভারী ব্যাগ নিয়ে যেতে হচ্ছে। প্রতিদিন ছ’সাতটি বই, ছয় সাতটি খাতা, পেন্সিল বক্স, টিফিন বক্স মিলিয়ে রীতি মত বোঝা। প্রতিদিন এই ভারী ব্যগ ব্যবহার করে শিশুদের মেরুদণ্ড ও অস্থিসন্ধির ক্ষতি হচ্ছে। পিঠে ব্যথা হচ্ছে। শিশুদের শারিরীক ও মানসিক বিকাশ ব্যাহত হচ্ছে।
‘মানবিক মুখ’ এর সম্পাদক রাতুল বিশ্বাসের অভিযোগ, ‘‘ভারী ব্যাগ চাপিয়ে শিশুদের উপর শারীরিক নির্যাতন চালানো হচ্ছে। দিল্লি হাইকোর্ট স্কুল ব্যাগের ওজন শিশুর ওজনের ১০ শতাংশের থেকেও কম করার নির্দেশ জারি করে। এই নির্দেশ মেনেই মহারাষ্ট্রে শিশুদের স্কুল ব্যাগের ওজন নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। সর্বত্র এটা করা হোক। ডিস্টিক্ট চাইল্ড ইনস্পেকশন কমিটির সদস্য হওয়ার সুবাদে পরের বৈঠকে আলোচনা করব।’’
আলিপুরদুয়ার ম্যাক উইলিয়াম উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরাজী শিক্ষক অজিত নাথ বলেন,‘‘ভারী বইয়ের ব্যাগের জন্য শিশুদের কাছে স্কুলে যাওয়ার আনন্দটাই মাটি হয়ে যাচ্ছে। ছোটবেলা থেকেই শিশুদের কাছে পড়াশোনাটা একটা বোঝা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। যেটা খুবই চিন্তার।’’ উদ্বিগ্ন আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপার আভারু রবীন্দ্রনাথও। তাঁর কথায়, ‘‘ভারী ব্যাগ বয়ে নিয়ে স্কুলে যেতে শিশুদের কষ্ট হয়। তা লাঘবের জন্য ঠিক কি করা যায় সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy