হলদিবাড়িতে বধূ মৃত্যুর ঘটনায় রহস্য গাঢ় হচ্ছে আরও। বিষয়টির কিনারা করতে ধর্ষণ ও হত্যায় অভিযুক্ত তিনজন সহ অভিযোগকারীর আত্মীয় স্বজনদের কললিস্টও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। অন্যদিকে হলদিবাড়ি হাসপাতালের ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন মঙ্গলবার অচৈতন্য একজন মহিলাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হলেও ধর্ষণ সম্পর্কে কেউ কিছু জানায়নি।
পুলিশের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে মোবাইল সংস্থাগুলির কাছে প্রত্যেকের কল লিস্ট চাওয়া হয়েছে। কারণ মৃত মহিলা বাড়ির কারও মোবাইল থেকে অন্য কারও সঙ্গে কথা বলেছিলেন কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ঘটনার দিন অভিযুক্ত তিনজন কাজ থেকে বাড়ি ফিরে কে কোথায় গিয়েছিলেন তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
অভিযুক্ত কংগ্রেস মন্ডল, হরিপদ মন্ডল এবং নিত্যপ্রিয় মল্লিক সকলেই পেশায় রাজমিস্ত্রী। তাঁদের পরিবারের দাবি, খালপাড়া গ্রামে একটি ট্রান্সফর্মার কোথায় বসবে তাই নিয়ে ঘটনার দিন অর্থাৎ সোমবার রাতে একটা সভা ছিল। কংগ্রেস এবং হরিপদ মন্ডল দুজনেই সেই সভায় যান। নিত্যপ্রিয় বাড়ি ফিরে যান। তাদের এই বক্তব্য পুলিশ পরীক্ষা করে দেখেছে।
হলদিবাড়ি হাসপাতাল সুত্রে জানা গিয়েছে যে গত ১৮ তারিখ অচৈতন্য ওই মহিলাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কি হয়েছে তা জানতে চান। তখন মহিলার স্বামী জানান, একটা ঝোপের মধ্যে অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলেন ওই মহিলা। ধর্ষণের কথা চিকিৎসককে বলা হয়নি। মহিলার মুখে কীটনাশকের গন্ধ পেয়ে তার পাকস্থলী পরিস্কার করা হয়। সেখান থেকে বার হওয়া তরলে কীটনাশকের গন্ধ ছিল।
হলদিবাড়ি ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক তাপস দাস বলেন, “হাসপাতালের চিকিৎসক ওয়াসিফ রেজা মহিলাকে পরীক্ষা করেন। তিনি জানিয়েছেন মহিলার দেহে এবং মুখে কোথাও কোন আঘাতের চিহ্ন ছিল না। কীটনাশকের প্রভাবে তিনি অচৈতন্য ছিলেন। অচৈতন্য হওয়ার জন্য তাকে জলপাইগুড়িতে রেফার করা হয়।”
নার্সিংহোমে গোলমাল। চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ তুলে এক নার্সিংহোমে গণ্ডগোল ছড়াল। বুধবার সন্ধ্যায় ইসলামপুর থানার তিনপুল মোড় সংলগ্ন এলাকাতে ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রায় এক মাস আগে দুর্ঘটনায় পায়ের হাড়ভাঙা নিয়ে ইসলামপুরের নার্সিংহোমে ভর্তি হন ধনতলা এলাকার এক বাসিন্দা। তাঁর অস্ত্রপচার করে পায়ে লোহার রড বসানো হয়। রোগীর লোকজনের অভিযোগ, এক মাসে হাড় জোড়া ঠিকঠিক হয়নি। এই অভিযোগ করলেই গোলমাল করতে থাকেন পরিবারের লোকজন। পুলিশ গেলেও কোনও পক্ষ অবশ্য অভিযোগ করেননি। নার্সিংহোমের কর্নধার চিকিত্সক মাজার আলম জানান, রোগীকে সুস্থ হতে ও হাড় জোড়া লাগতে প্রায় ৬ মাসের উপরে লাগবে। বিষয়টি না বুঝেই কিছু লোকজন উত্তেজনা ছড়াচ্ছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy