Advertisement
E-Paper

শিশু ধর্ষণ, তিন মাসেও বিচার কই

অভিযোগ, ওইদিন প্রতিবেশী এক কিশোর তাকে চকলেটের প্রলোভন দেয়। তারপরে ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে।

অভিজিৎ সাহা

শেষ আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৪:২৪
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

চকোলেটের প্রলোভন দেখিয়ে ছ’বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল প্রতিবেশী এক কিশোরের বিরুদ্ধে। তিন মাস আগে এই ঘটনা ঘটেছিল মালদহের কালিয়াচক থানার শেরশাহীর রুনুচক গ্রামে। অভিযোগ, পুলিশ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপই করেনি। এমনকী, বাচ্চাটির ডাক্তারি পরীক্ষার রিপোর্টও আদালতে জমা দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ পরিবারের। এবার নির্যাতিতা ওই শিশুর পরিবারের পাশে দাঁড়াল এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্তে গড়িমসির অভিযোগ তুলে আদালতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন সংগঠনের সদস্যেরা। যদিও পুলিশের দাবি, আইন মেনেই ঘটনার তদন্ত চলছে।

গত ২৪ জুন বিকেল ৫টা নাগাদ বাড়ির সামনে খেলা করছিল প্রথম শ্রেণির ছাত্রী ওই মেয়েটি। তার বাবা রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। অভিযোগ, ওইদিন প্রতিবেশী এক কিশোর তাকে চকলেটের প্রলোভন দেয়। তারপরে ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। ওই কিশোর বেসরকারি মাদ্রাসায় একাদশ শ্রেণিতে পড়াশোনা করে বলে দাবি পরিবারের। জানা গিয়েছে, তার বাবার নিজস্ব গাড়ি রয়েছে।

ঘটনার পরদিন, ১৫ জুন কালিয়াচক থানায় অভিযোগ দায়ের করে নির্যাতিতার পরিবার। অভিযোগ, তার পরেও পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেনি। অভিযুক্তের পরিবার মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুঁশিয়ারিও দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন নির্যাতিতা শিশুর বাবা। তিনি বলেন, ‘‘আমরা খুবই সাধারণ পরিবার। তাই পুলিশ অভিযুক্তদের আড়াল করছে। আমরা খুব অসহায় হয়ে পড়েছি।’’ ওই পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে ওই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটি। সংগঠনের এক কর্তা বলেন, “পুলিশ শুরু থেকেই ঘটনাটি নিয়ে টালহাবানা করছে। ঘটনার তদন্তের অগ্রগতি জানতে থানায় গেলে পুলিশ দুর্ব্যবহার করছে। তাই পুলিশের বিরুদ্ধে আমরা আদালতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’’

পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে জুভেনাইল আদালতে তোলা হয়েছিল। সেখান থেকে তাকে হোমে পাঠানো হয়। ছেলেটি পড়াশোনা করায় পরিবারের লোকেরা হোম থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে গিয়েছে। তবে পুলিশি তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আইনজীবী তুহিন শবনম। তিনি বলেন, ‘‘অভিযুক্তকে গ্রেফতারের বিষয়টি আদালতে আমরা খোঁজ নিয়েছিলাম। সেখানে গ্রেফতারের কোনও খবর মেলেনি। এছাড়া মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছিল। পুলিশ আদালতে ডাক্তারি পরীক্ষার রিপোর্ট জমা দেয়নি। কালিয়াচক থানার পুলিশ ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। তাই পুলিশের বিরুদ্ধেই আমরা আদালতে মামলা করব।’’

ঘটনার তদন্তকারী অফিসার সৌম্যজিৎ মল্লিক বলেন, ‘‘চলতি মাসের মধ্যেই চার্জশিট দেওয়া হবে। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।” ঘটনাটি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) দীপক সরকার।

Child Rape Justice Kaliachak
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy