সিপিএমের বিদায়ী কাউন্সিলর কমল অগ্রবালের উপর হামলার ৪৮ ঘন্টা পর তাঁকে নিরাপত্তা নেওয়ার আর্জি জানিয়ে চিঠি দিল শিলিগুড়ি পুলিশ। শনিবার ওই চিঠি মিলতেই অবশ্য নিরাপত্তা নেবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন কমলবাবু। তিনি বলেন, ‘‘ পুলিশকে জানিয়ে দিয়েছি, আমি সাধারণ মানুষ। সাধারণ ভাবেই চলব। তবে ১০ নম্বর ওয়ার্ড-সহ শহরের বাসিন্দাদের নিরাপত্তা পুলিশ নিশ্চিত করলে আমি খুশি হব।’’
এ দিন ওই ওয়ার্ডের শ্রীরাম রোডে নিবার্চনী কার্যালয়ের উদ্বোধন করেন বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপি’র জেলা সভাপতি রথীন্দ্র বসু বলেন, ‘‘এই চক্রান্তের পিছনে কে বা কারা রয়েছে, পুলিশ তদন্ত করে বার করুক। কেন না ওই ঘটনা নিয়ে বাসিন্দাদের ভুল বোঝান হচ্ছে।’’ বিজেপি’ প্রার্থী সঞ্জীব অগ্রবাল বলেন, ‘‘ওই ঘটনার তদন্ত করে প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটনের দাবি জানাচ্ছি।’’
বস্তুত, কমলবাবুর উপর হামলার ঘটনার পরই এলাকায় নিরাপত্তার প্রশ্নে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা। বৃহস্পতিবার কমলবাবুর উপর হামলার ঘটনা ঘটে। ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কে সি দে রোডে কমলবাবুর অফিসে হাঁসুয়া নিয়ে হামলা চালায় অর্জুন দাস নামে এক যুবক। কমলবাবুকে মারার জন্য ওই যুবক খোঁজ করছিল বলে অভিযোগ। কমলবাবু সেখানে থাকলেও মদ্যপ ওই যুবক তাঁকে চিনতে পারেননি। এর পর এলোপাথারি হাঁসুয়া চালালে দুই ব্যক্তি জখম হন। স্থানীয় কয়েক জনের চেষ্টায় শেষ পর্যন্ত তাকে ধরা হয়। এলাকার বাসিন্দাদের একাংশ তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
এই ঘটনার বাসিন্দারাও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। শুক্রবার চার্চ রোডের ব্যসায়ীরা দোকান বন্ধ করে ওই রাস্তা অবরোধ করে নিরাপত্তার দাবি তোলেন। তাতে সাধারণ বাসিন্দাদের দুভোর্গ পোহাতে হবে দেখে কমলবাবুই তাঁদের বুঝিয়ে অবরোধ তোলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy