পৃথক রাজ্যের দাবিতে আবারও বার্তা কেএলওর। —নিজস্ব চিত্র।
বৃহত্তর কোচ-কামতাপুর রাজ্যের দাবি জানিয়ে আবারও ভিডিয়ো বার্তা দিল কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশন (কেএলও)। সোমবার সন্ধ্যায় ওই ভিডিয়ো বার্তা প্রকাশিত হয়েছে। জঙ্গি সংগঠনটির ওই ভিডিয়ো বার্তা নিয়ে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে রাজনৈতিক চাপানউতর শুরু হয়েছে।
ভিডিয়ো বার্তায় স্বয়ংক্রিয় রাইফেল হাতে এক ব্যক্তিকে দেখা গিয়েছে। ওই ব্যক্তি নিজের নাম জানিয়েছেন জয়প্রকাশ বর্মণ। নিজের বাড়ি অসমের বঙ্গাইগাঁওতে বলেও জানিয়েছেন ওই ব্যক্তি। ভিডিয়ো বার্তায় তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘কোচ-কামতাপুরের বাসিন্দাদের বিপন্ন জনসত্তা নিয়ে কেএলও-র গণসংগ্রাম জারি রয়েছে। আমরা ভিটেমাটি রক্ষার এই দায়িত্ব এবং কর্তব্য নিষ্ঠা সহকারে পালন করব।’’ বৃহত্তর কোচ-কামতাপুর রাজ্যের দাবি জানিয়েছেন ওই ব্যক্তি। পাশাপাশি, দাবি না মানলে ভয়ানক পরিস্থিতি হবে বলেও কেন্দ্রীয় সরকারকে হুমকি দিয়েছেন তিনি। সব রকম পরিস্থিতির জন্য কেন্দ্রীয় সরকারই দায়ী হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ওই ব্যক্তি।
ওই ভিডিয়ো বার্তা ঘিরে শুরু হয়েছে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে রাজনৈতিক চাপানউতর। তৃণমূলের অভিযোগ, কেএলও-র সঙ্গে আঁতাঁত রয়েছে বিজেপির বিধায়ক এবং সাংসদদের। কোচবিহার জেলা তৃণমূলের সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় বলেন, ‘‘জন বার্লা যে দিন থেকে পৃথক রাজ্যের দাবি তুলেছেন সে দিন থেকেই কেএলও জঙ্গি সংগঠন মাথাচাড়া দেওয়ার চেষ্টা করছে। কেএলও-র সঙ্গে গোপন সম্পর্ক রয়েছে উত্তরবঙ্গের বিধায়ক এবং সাংসদদের।’’
তৃণমূলের আক্রমণ নিয়ে বিজেপির কোচবিহার জেলার সভাপতি সুকুমার রায় বলেন, ‘‘উত্তরবঙ্গের মানুষের দাবি তুলে ধরেছেন বিধায়ক এবং সাংসদেরা। উত্তরবঙ্গের মানুষ দীর্ঘ দিন ধরে বঞ্চিত। উত্তরবঙ্গের যদি দক্ষিণবঙ্গের মতো উন্নয়ন হত তা হলে হয়তো এই দাবি কেউ করতেন না। কেএলও জঙ্গি সংগঠন নিজেদের দাবি তুলে ধরছে। কিন্তু বিজেপির বিধায়ক এবং সাংসদরা সাধারণ মানুষের দাবি তুলে ধরেছেন। আমাদের দাবি এবং জঙ্গি সংগঠনের দাবি আলাদা। তারা তাদের দাবি তুলে ধরতেই পারে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy