আলিপুরদুয়ার শহরে লিজ জমির সমস্যা নিয়ে রাজ্যের কাছে চিঠি পাঠাল জেলা প্রশাসন। ২০০৬ সালে শহরের জমি লিজ দেওয়া শুরু হয়। সেই সময় নানা কারণে অনেকেই জমি লিজ নিতে পারেননি। জেলা প্রশাসন বাকি জমির লিজ দিতে ফের রাজ্য ভূমি দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে। জমির লিজ নিয়েছেন অথচ খতিয়ান বার করেননি তাঁরাও নিয়ম মেনে আবেদন করতে পারবেন। ভূমি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, লিজ মালিকদের একাংশ জমি অবৈধ ভাবে হস্তান্তর করেছেন কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক দেবীপ্রসাদ করণম বলেন, ‘‘২০০৬ সালে শহরে জমি লিজ দেওয়া হয়েছিল। সেই সময় নানা কারণে অনেকেই জমির লিজ পাননি। সমস্যা সমাধানে আমরা রাজ্যের কাছে চিঠি পাঠিয়েছি।’’
জেলা ভূমি রাজস্ব দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কে কতটা জমি লিজ নিয়ে কতটা অংশে থাকছেন, লিজ নেওয়া জমির মালিক জমি কাউকে অবৈধভাবে হস্তান্তর করেছেন কি না সে বিষয়গুলি দেখা হবে। আলিপুরদুয়ার শহরে মোট জমির পরিমান প্রায় এক হাজার একাত্তর একর। জলাভূমি রয়েছে প্রায় ৪৪ একর। অতিরিক্ত জেলাশাসক(ভূমি রাজস্ব) এথেনা মজুমদার বলেন, “লিজ নেওয়ার পর অধিকাংশ লিজ হোল্ডার জমি রেজিস্ট্রেশন করাননি। তারা কী ভাবে জমি রেজিস্ট্রেশন করিয়ে খতিয়ান বার করবেন তা দফতরে খৌঁজ নিলেই জানতে পারবেন।”
শহরের জমি আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত অভিভাবক মঞ্চের সম্পাদক ল্যারি বসু জানান, অনেক লিজ জমির মালিক জমি রেজিষ্ট্রেশন করিয়েছেন তাবে খতিয়ান করাতে পারেননি। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের দাবি অবিলম্বে খতিয়ান দিতে হবে। তা হলে লিজ জমির মালিকরা জমির কাগজ দেখিয়ে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিতে পারবেন। জলা ভূমি নিয়েও আলাদা করে সমীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে। তা ছাড়া, হাট প্লটের জমির সমস্যা রয়েছে। সেখানে বসবাসকারীরা লিজ পাননি।’’
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলির অভিযোগ, রাজনৈতিক মদতে একের পর এক জলাভূমি দখল চলছে। এর প্রভাব পড়েছে শহরের নিকাশি ব্যবস্থায়। বর্ষায় শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ড জলমগ্ন হয়ে পড়ে সুষ্ঠ নিকাশির অভাবে। একাধিক পুকুর ও ডোবা ভরাট করে ফেলেছে অসাধু দালাল চক্র। তার পেছনে মদত রয়েছে রাজনৈতিক নেতাদের একাংশের। শহরের বড় বড় জলাভূমিগুলিও দীর্ঘ সময় ধরে সংস্কার না হওয়ায় মজে যাচ্ছে। এই সমস্ত কিছু প্রতিরোধের দাবি তোলেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy