Advertisement
E-Paper

প্রচার কি কর্মদিবস নষ্ট করে, বিতর্ক

পুরসভার কাজের সময় পুরকর্মীদের নিয়ে মেয়র ভোটের প্রচারে বেরনোয় বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ মার্চ ২০১৯ ০৫:২৮
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

কর্মদিবস নষ্ট করে ভোটের সভা এবং প্রচার করার অভিযোগ উঠেছে সিপিএম এবং তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বুধবার সকালে পুরসভার কর্মীদের নিয়ে শিলিগুড়ির বিধায়ক তথা মেয়র অশোক ভট্টাচার্য প্রচারে বেরনোয় বিতর্ক তৈরি হয়েছে। অন্য দিকে, প্রাথমিক শিক্ষকেরা স্কুলে যোগ দিয়েও ক্লাস বাদ দিয়ে গৌতম দেবের সভায় যোগ দেওয়াতেও উঠেছে একই রকমের প্রশ্ন।

পুরসভার কাজের সময় পুরকর্মীদের নিয়ে মেয়র ভোটের প্রচারে বেরনোয় বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এ দিন সকালে ২০ নম্বর ওয়ার্ডে দলীয় প্রার্থী শমন পাঠককে নিয়ে প্রচারে বেরিয়েছিলেন তিনি। তাঁদের মধ্যে পুরসভার জঞ্জাল অপসারণ বিভাগের কয়েকজন কর্মীও ছিলেন বলে অভিযোগ তুলেছেন পুরসভার বিরোধী দলনেতা রঞ্জন সরকার। তাঁর বক্তব্য, ‘‘রাজনীতি করার লক্ষ্যেই মেয়র অবৈধ ভাবে লোক নিয়োগ করেছিলেন এবং এখন তাঁদের দলীয় প্রচারের কাজে লাগানো হচ্ছে। আমরা তদন্ত চেয়েছি।’’ পুরসভার কমিশনার সোনম ওয়াংদি ভুটিয়া বলেন, ‘‘আমরা অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত হবে।’’ কেন কর্মীদের ভোটের কাজে নিয়ে গেলেন মেয়র? অশোক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘পুরকর্মীদের শ্রমিক সংগঠন করার অধিকার রয়েছে। কাজের পরেই তাঁরা গিয়েছেন। কাজের সময় কেউ যাননি।’’

অন্য দিকে, ভোটের প্রচার নিয়ে একই রকমের বিতর্কে জড়িয়েছে তৃণমূলও। অভিযোগ, পূর্ণ কর্মদিবসে প্রায় দেড়শো প্রাথমিক শিক্ষক মন্ত্রী গৌতম দেবের সভায় যোগ দিয়েছেন দলীয় প্রার্থী অমর সিংহ রাইয়ের প্রচারে। সরকারি প্রাথমিক স্কুলে বেলা পৌনে ১১টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত পঠনপাঠন চলার কথা। কিন্তু এ দিন প্রায় দু’শো প্রাথমিক শিক্ষক বেলা দেড়টা থেকে ভেনাস মোড়ের কাছে একটি অনুষ্ঠান ভবনে আসতে শুরু করেন বলে অভিযোগ। এ বিষয়ে গৌতম দেব বলেন, ‘‘প্রার্থীর প্রচারে আমরা শিক্ষক শাখার সমর্থন চেয়ে আজকের এই অনুষ্ঠান করেছি। ভোটের সময়। প্রচণ্ড ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে। তা না হলে ছুটির পরেই বিকেলে এই অনুষ্ঠান করতাম।’’ অনুষ্ঠানটি হয় তৃণমূল-প্রভাবিত পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির ব্যানারে। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রঞ্জন শীলশর্মা বলেন, ‘‘শিক্ষকেরা শিক্ষা সংক্রান্ত আলোচনা করতেই এসেছেন।’’

সিপিএমের শিক্ষক সংগঠনের জেলা সভাপতি সংগ্রাম দে দাস বলেন, ‘‘ক্ষমতার বলে ভয় দেখিয়ে সব রকমের অনৈতিক কাজ করানো হচ্ছে শিক্ষকদের দিয়ে।’’

Lok Sabha Election 2019 CPM TMC Campaign
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy