মঞ্চে ফিরহাদ হাকিম। নিজস্ব চিত্র
“বরকতদা বেঁচে থাকলে আত্মহত্যা করতেন”, বলে মন্তব্য করলেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্ননমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। মালদহ দক্ষিণ লোকসভা আসনে সিপিএম প্রার্থী দেয়নি। কংগ্রেস-সিপিএমের এই ‘সমঝোতা’ নিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন তিনি। এর জবাবে জেলা কংগ্রেস নেতারা বলেন, গনির ঐতিহ্য কংগ্রেসই বহন করে চলেছে।
শনিবার কালিয়াচকের নওদা যদুপুর হাসপাতালপাড়া মাঠে মালদহ দক্ষিণ আসনের দলীয় প্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসেনের সমর্থনে সভায় ভাষণ দিচ্ছিলেন ফিরহাদ। তিনি বলেন, “জীবদ্দশায় বরকত গনিখান চৌধুরী সিপিএমকে বঙ্গোপসাগরে ছুড়ে ফেলার কথা বলতেন। ২০১১ সালে সিপিএমকে উৎখাত করে বরকতদার সেই স্বপ্ন পূরণ করেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু বরকতদা যে সিপিএমকে বঙ্গোপসাগরে ছুড়ে ফেলার কথা বলেছিলেন, সেই সিপিএমের সঙ্গেই এই দক্ষিণ মালদহ আসনে হাত ধরেছেন বরকতদারই ভাই ডালুবাবু। সিপিএম এই আসনে প্রার্থীই দিল না। এমন ঘটনায় বরকতদা বেঁচে থাকলে আত্মহত্যা করতেন।’’ তিনি আরও বলেন, “মালদহে এলে বরকতদার কথা মনে হয়। ছোটবেলা থেকেই বরকতদার সঙ্গে পরিচয়। বড় হয়ে বরকতদার সঙ্গে রাজনীতি করেছি। আমরা তখন ডালুবাবুকে দেখিনি। যেই বরকতদা মারা গেলেন, আচমকা উদয় হলেন ডালুবাবু এবং কংগ্রেস করতে শুরু করলেন। বরকতদাকে সামনে রেখে তিনবার এই আসন থেকে সাংসদও হয়ে গিয়েছেন ডালুবাবু। কিন্তু কোনও উন্নয়ন কাজই তিনি করেননি।’’
সিপিএম, কংগ্রেসকে বিজেপির চর বলেও কটাক্ষ করেন ফিরহাদ। তিনি বলেন, “এই রাজ্যে সিপিএম ও কংগ্রেস বিজেপিকে সাহায্য করছে। লোকসভা ভোটেও তার নমুনা দেখা যাচ্ছে।” এ দিকে এই সভায় একেবারেই লোক টানতে পারেননি ফিরহাদ। বেলা ২টো নাগাদ বৃষ্টি মাথায় করে সভাস্থলে পৌঁছন তিনি। বৃষ্টির আগে আকাশ পরিষ্কার থাকলেও তেমন লোক ছিল না। বেশির ভাগ চেয়ার ফাঁকাই ছিল। বৃষ্টির পরে সওয়া দুটো নাগাদ সভা শুরু হলে বেশির ভাগ চেয়ার ফাঁকাই থাকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy