অভিযোগে সরব বাসিন্দারা। নিজস্ব চিত্র
কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনায় রান্নার গ্যাস বিলির সময় বাসিন্দাদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল।
সোমবার সকালে রায়গঞ্জের মাড়াইকুড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সুভাষগঞ্জ ঘোষপাড়া মোড়ে এলাকার কয়েকশো বাসিন্দা রান্নার গ্যাস সরবরাহকারী একটি সংস্থার গ্যাস সিলিন্ডার, ওভেন, রেগুলেটর ও পাইপ বোঝাই একটি পিকআপ ভ্যান ঘেরাও বিক্ষোভ দেখান। বাসিন্দারা জানান, টানা দু’ঘণ্টা বিক্ষোভ চলার পর বেলা ১২টা নাগাদ অভিযুক্ত পরিবহণ কর্মীরা বাসিন্দাদের টাকা ফিরিয়ে দিয়ে রান্নার গ্যাসের সংযোগ দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
রান্নার গ্যাস সরবরাহকারী ওই সংস্থার কর্ণধার তথা রায়গঞ্জ ব্লক তৃণমূলের যুগ্ম সম্পাদক সত্যজিত বর্মনের দাবি, তাঁর নামে বদনাম রটানোর জন্য কিছু মানুষ এ দিন সংস্থার পরিবহণকর্মীদের নাম করে বাসিন্দাদের কাছ থেকে টাকা দাবি করেছিলেন। তাঁরা সংস্থার কেউ নয়।
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী উজ্বলা যোজনা প্রকল্পে গ্যাস সরবরাহকারী এজেন্সির মাধ্যমে বিপিএল তালিকাভূক্ত পরিবারগুলিকে বিনে পয়সায় রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার, ওভেন, রেগুলেটর ও পাইপ বিলি করার নিয়ম। প্রায় দু’মাস আগে এলাকার বিপিএল তালিকাভূক্ত ৭০ জন বাসিন্দার কাছ থেকে প্রকল্পের সুবিধা নেওয়ার আবেদনপত্র সংগ্রহ করেন। সেই মতো এ দিন তাঁরা ওই এলাকার ৬০ জন আবেদনকারী বাসিন্দাকে রান্নার গ্যাসের সংযোগ দিতে যান।
বাসিন্দাদের তরফে রিঙ্কি অধিকারী, অভিজিত রায়, মীরা সরকার, মামনি বিশ্বাস, লক্ষ্মী অধিকারী ও পুতুল রায়ের অভিযোগ, এদিন ওই এজেন্সির পরিবহণ কর্মীরা একেকজন গ্রাহকের কাছ থেকে কোনও রসিদ ছাড়াই ২০০ থেকে ৫০০ টাকা করে আদায় করেন। তাঁদের কথায়, ‘‘ওই প্রকল্পের সুবিধা বিনে পয়সায় মেলে বলে আমরা টিভি ও সংবাদপত্রে দেখেছি। কিন্তু পরিবহণ কর্মীরা তা মানতে চাইছিলেন না।’’
পরিবহণ কর্মীদের তরফে মোস্তাফিজুর রহমানের দাবি, ‘‘পরিবহণ খরচ বাবদ বাসিন্দাদের কাছে কিছু টাকা আবদার করেছিলাম। এখানে এজেন্সির কোনও ভূমিকা নেই। কারও কাছ থেকে টাকাও নিইনি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy