মা: ছেলের মৃত্যুর খবর শুনে মা মালা সরকার। ছবি: নারায়ণ দে
বোনের বিয়ের দায়িত্ব নিয়েছিল মধু। তবে আর ঘরেই ফেরা হল না তাঁর। মঙ্গলবার ঘরের দাওয়ায় বসে বুক চাপড়ে সে কথাই বলে চলেছিলেন মা মালা সরকার। দাদার মৃত্যু মেনে নিতে পারছে না বোন সুমিত্রাও। ফেব্রুয়ারি মাসেই তাঁর বিয়ের দিন ঠিক হয়েছে।
গুজরাতে অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে আলিপুরদুয়ারের নর্থ পয়েন্টের বাসিন্দা মধু সরকারের (২২)। তাঁর মায়ের দাবি খুন করা হয়েছে ছেলেকে। গুজরাতে মধুর মৃতদেহ দেখেছেন যারা, তাঁরাই জানিয়েছেন মধুর শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল।
আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপার আভারু রবীন্দ্রনাথ জানিয়েছেন, ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মধুর পরিবারের তরফে আলিপুরদুয়ার থানায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগ জমা পড়েছে।
নর্থ পয়েন্ট এলাকার বাসিন্দা মধুর প্রতিবেশী সাধন বিশ্বাস জানান, হাসিখুশি ছেলে ছিলেন তিনি। বছর চারেক ধরে বাইরে কাজ করতেন। সাধনবাবুর ডেকরেটর্সের ব্যবসা রয়েছে। মধু বাড়িতে এলে সাধনবাবুর সঙ্গেই কাজ করতেন। সাধন বিশ্বাস বলেন, “ওকে খুন করা হয়েছে। গুজরাতে যারা ওর মৃতদেহ দেখেছে অন্তত তাদের বয়ান অনুযায়ী তাই মনে হচ্ছে। তদন্ত করা দরকার।”
একই দাবি করেন মধুর বোন সুমিত্রাও। তিনি বলেন, ‘‘দাদা কারও সঙ্গে ঝুট ঝামেলায় যেত না। কী কারণে দাদাকে খুন করা হয়েছে বুঝতে পারছি না।’’ আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘কী ভাবে মধুবাবুর মৃত্যু হয়েছে, তা তদন্ত করে দেখুক পুলিশ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy