কর্ত্রী: কার্শিয়াঙে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী। ছবি: স্বরূপ সরকার।
আগের দিন উত্তরকন্যায় প্রশাসনিক বৈঠকে পরিযায়ীদের ঘরে থেকে কাজের সুযোগ করে দেওয়ার উদ্যোগের কথা বলেছিলেন। আর মঙ্গলবার কার্শিয়াঙে প্রশাসনিক বৈঠক থেকে দার্জিলিং এবং কালিম্পং পাহাড়ে বেকার ছেলেমেয়েদের, বাইরে যেতে চাওয়া তরুণ প্রজন্মকে কাজের দিশা দেখালেন মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিশেষ করে পাহাড়ে আইটি হাব, আইটি পার্কের সম্ভাবনা কথা তুলে ধরে সেই কাজে জোর দিতে বলেন। বৈঠকে উপস্থিত কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রিজ়ের প্রতিনিধিদের বলেন, ‘‘ওই সমস্ত ছেলেমেয়েদের ডেকে সেমিনার করে উৎসাহ দিন। পাহাড়ে কাজের অনেক সুযোগ রয়েছে। সরকার সাহায্য করছে। তাদের বাইরে যেতে যেন না হয়।’’
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘পাহাড়ে আইটি হার্ডঅয়্যার পার্ক গড়ার এত সুন্দর জায়গা। কেন হবে না? ঘরের কাছে সোনার খনি রয়েছে। যে ধরতে পারবে! পাহাড়ে সিঙ্কোনা তো রয়েইছে। তা ছাড়া কত ধরনের গাছ, পাতা রয়েছে। ওষুধ তৈরিতে কাজে লাগে। এসব রফতানি হয়।’’
উপস্থিত শিল্প-প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘‘এখনকার ছেলেমেয়েরা অনেকে ইঞ্জিনিয়ারিং, পরিবেশ নিয়ে পড়ছে। তাদের উৎসাহিত করুন। সরকারও সাহায্য করবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের ডাকুন। সেমিনার করে আরও উৎসাহ দিন।’’
পাহাড়ে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, উদ্যানপালন, ফুলচাষ, ফলচাষ, প্রাণিসম্পদ পালনের সম্ভাবনার কথা জানিয়ে ব্যবস্থা নিতে বলেন। পাহাড়ের উন্নয়ন পরিকল্পনার জন্য অবিলম্বে ‘স্টিয়ারিং কমিট’ গড়তে নির্দেশ দেন জিটিএ’র প্রধান সচিবকে। অনীত থাপা, রোশন গিরি, অমর সিংহ রাই, গৌতম দেবদের রেখে ওই কমিটি হবে। তাতে এমএসএমই-সহ সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিকেরা, চেম্বার অফ কমার্সের প্রতিনিধিরা থাকবেন। কী পরিকল্পনা করা হল, ডিসেম্বরে মুখ্যমন্ত্রী জানতে চাইবেন।
পাহাড়ে কাজের সুযোগ তৈরি এবং উন্নয়ন পরিকল্পনার মধ্যে টি ট্যুরিজ়মের অধীনে বিভিন্ন প্রকল্প গড়ার পরিকল্পনা নিতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। পাহাড়ে স্বনির্ভর গোষ্ঠী করে ছেলেদের তাতে শামিল করতে বলেন। তাদের দিয়ে পাহাড়ের ঝোরার জল বোতলবন্দি করতে বটলিং প্লান্ট, উল তৈরি ও উলের পোশাক তৈরি কাজের সুযোগ গড়ার কথা জানান তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী কথায়, পাহাড়ের ছেলেমেয়েরা স্মার্ট। রফতানির মতো কাজ তারা দক্ষতার সঙ্গে করতে পারবে। সিঙ্কোনা ফ্যাক্টরির জমিতে পাওযার লুম বসিয়ে কাপড় উৎপাদন, ইন্টিগ্রেটেড ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক গড়ার পরিকল্পনার কথা ভাবা হয়েছে বলে সচিবেরা মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়ে দেন। সিআইআই-এর উত্তরবঙ্গ জ়োনের চেয়ারম্যান সঞ্জয় টিব্রেওয়াল, নরেশ আগরওয়ালরা সমস্ত রকম সাহায্যের আশ্বাস দেন।
পাহাড়ে যে সমস্ত ভবন, প্রতিষ্ঠান রয়েছে সেখানে জায়গা করে ‘হিল ইউনিভার্সিটি’র কাজ দ্রুত চালু করতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। আগে ঘোষণা হলেও এখনও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ হয়নি বলে এ দিন এসজেডিএ কর্তৃপক্ষের ভাইস চেয়ারম্যান অমর সিংহ রাই জানালে সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সচিবদের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy