৫ মে কোচবিহারে ভোট। তার আগে কোচবিহারে প্রচারে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দল সূত্রের খবর, ২ মে কোচবিহারে যাবেন তিনি। ওইদিন তুফানগঞ্জ, বাণেশ্বর এবং কোচবিহারে তিনটি সভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। পরের দিন ৩ মে দিনহাটা, মাথাভাঙা এবং মেখলিগঞ্জে তিনটি সভা করার কথা রয়েছে তাঁর। সেখান থেকে চালসা কিংবা শিলিগুড়িতে যাওয়ার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। সে দিন বিকেলের বিমানে মুখ্যমন্ত্রীর কলকাতায় ফেরার কথা।
মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আগে কোচবিহারে লাগাতার প্রচারে নেমেছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। শুক্রবার গৌতমবাবু সাংবাদিক বৈঠকে দাবি করেন, গত পাঁচ বছরে যা উন্নয়ন হয়েছে তাতে কোচবিহারে ৯টি আসনেই তৃণমূল জয়ী হবে। গৌতমবাবু বলেন, “কোচবিহারের মানুষ বরাবর তৃণমূলের সঙ্গে আছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোচবিহারকে উন্নয়নের জোয়ারে ভাসিয়ে দিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে শুরু করে সেতু, রাস্তা কোনওদিকে খামতি রাখেননি। এবারে মানুষ ঢেলে তাঁকে ভোট দেবেন বলে বিশ্বাস রাখি।” গৌতমবাবু তিনদিন কোচবিহারের একাধিক জায়গায় তৃণমূলের প্রার্থীদের হয়ে প্রচার চালাচ্ছেন। তিনি কোচবিহার থেকে শুরু করে দিনহাটা, সিতাই, শীতলখুচি, মাথাভাঙা, মেখলিগঞ্জ কেন্দ্রে প্রচার করবেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও তৃণমূলের হয়ে প্রচারে আসবেন মুকুল রায়, দেব এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। একাধিক জায়গায় প্রচার সভা করবেন তাঁরা। সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “জেলার বিভিন্ন জায়গায় এই কয়েক দিন টানা সভা রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীও সভা করবেন। মানুষ আমাদের পাশে আছেন।”
জোরকদমে প্রচার চালাচ্ছেন বিরোধীরাও। তাঁদের হয়ে প্রচারে একাধিক নেতা আসতে শুরু করেছেন। বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতা সূর্যকান্ত মিশ্র ইতিমধ্যেই একাধিক জায়গায় সভা করেছেন। এ ছাড়াও মহম্মদ সেলিম, মানব মুখোপাধ্যায় সহ একাধিক নেতা আসবেন। অশোক ভট্টাচার্য ইতিমধ্যে কোচবিহারে প্রচার করে গিয়েছেন। সিপিএমের কোচবিহার জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য জোটের নেতা মহানন্দ সাহা বলেন, “টানা প্রচার চলছে। সভা হচ্ছে। মানুষের সাড়া ব্যাপক ভাবে পাচ্ছি। এলাকায় কি উন্নয়ন হয়েছে মানুষ তা জানে। সে জবাব ভোটেই পাওয়া যাবে।” বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ শনিবার কোচবিহারে আসবেন। মেখলিগঞ্জ ও কোচবিহারে দুটি সভা করবেন তিনি। বিজেপির কোচবিহার জেলার সাধারণ সম্পাদক নিখিলরঞ্জন দে বলেন, “বাম ও তৃণমূল দুই দলের কাজকর্ম দেখে বীতশ্রদ্ধ মানুষ। দলে দলে আমাদের দিকে আসছেন।”