Advertisement
E-Paper

পাথর দিয়ে থেঁতলে খুন

পরিবারের লোকজনের সন্দেহ, ছিনতাইয়ের জন্য ঘটনাটি ঘটতে পারে। রাজ্য সড়কের ওই অংশে রাস্তায় একটি কালভার্ট রয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০১:৩৮
ঘটনাস্থল: এখানেই পাওয়া গিয়েছিল দেহ। নিজস্ব চিত্র

ঘটনাস্থল: এখানেই পাওয়া গিয়েছিল দেহ। নিজস্ব চিত্র

আত্মীয়ের বাড়ির কালীপুজোর অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে খুন করা হল এক ব্যক্তিকে। বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা নাগাদ মাটিগাড়া থানার খাপরাইলের ১২ নম্বর রাজ্য সড়কের ধার থেকে দেহটি উদ্ধার হয়। পুলিশ জানিয়েছে, নিহতের নাম শক্তি অধিকারী (৫৫)। স্থানীয় পাঁচকেলগুড়ি এলাকায় তাঁর বাড়ি। মাথা ছাড়া শরীরের আর কোথায় কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই। ফুলপ্যান্ট, সোয়েটার ছিল তাঁর পড়নে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি পাথর বাজেয়াপ্ত করেছে। নিহত ব্যক্তি স্থানীয় একটি লোহার কারখানায় নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করতেন।

পরিবারের লোকজনের সন্দেহ, ছিনতাইয়ের জন্য ঘটনাটি ঘটতে পারে। রাজ্য সড়কের ওই অংশে রাস্তায় একটি কালভার্ট রয়েছে। গভীর রাতে সেখানে মাঝেমধ্যেই ছিনতাই হয় বলে অভিযোগ। নিহতের দেহের পাশে ৫০০ টাকার একটি নোট মিলেছে। তাতে ঘটনাটি ছিনতাই না অন্য কিছু তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। নিহতের ছেলে স্বপন অধিকারী খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘আমরা কিছুই বুঝতে পারছি না। বাবার সঙ্গে কারও ঝামেলা, গোলমাল ছিল না।’’

খুনের কারণ নিয়ে পুরোপুরি ধন্দ্বে পুলিশও। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, সামান্য মাইনের চাকরি করতেন শক্তিবাবু। ছেলে ও নাতিদের নিয়ে ভাঙা টিন, বাঁশের বেড়া দেওয়া বাড়িতে থাকতেন। জমিজমা নেই। স্ত্রী বহুদিন আগে মারা গিয়েছেন। ছেলে রাজমিস্ত্রী। মোবাইল ফোনও নেই। কারও সঙ্গে গোলমালের কথাও পরিবার বা এলাকার লোকজন জানাতে পারেননি। তবে মাঝেমধ্যে মদ খেতেন। রাতে বাড়ি ফেরার পথে কোনও মদের আসরে গোলমাল হয়েছে কি না তা দেখা হচ্ছে। আবার ঘটনাস্থলেই তাঁকে খুন করা হয়েছে কি না তা নিয়েও সংশয় রয়েছে। কারণ সেখানে একটি বড় পাথর ছাড়া আর কিছুই মেলেনি। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার সুনীল কুমার চৌধুরী বলেন, ‘‘বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখে তদন্ত হচ্ছে।’’

পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার সন্ধে ৬টার পর কাজ থেকে বাড়ি ফিরে আসেন শক্তিবাবু। সন্ধে সাড়ে ৭টা নাগাদ পাশের ৬ মাইল গ্রামে ছোট মেয়ে সুধা রায়ের শ্বশুরবাড়িতে কালীপুজোর অনুষ্ঠানে যান। সাড়ে ১১টা নাগাদ হেঁটেই প্রায় দু’ কিলোমিটার দূরের বাড়ি ফিরছিলেন। সুধা বলেন, ‘‘শীতের রাত বেশি হওয়ায় বাবাকে যেতে বারণ করা হয়েছিল। উনি হেঁটে চলে যাবেন বলেন। তার পরে যে কী হল!’’

গাড়িধুরা যাওয়ার রাজ্য সড়কটির দু’পাশে কারখানা এবং অল্প কিছু বাড়িঘর রয়েছে। সন্ধের পরেই রাস্তাটি ফাঁকা হয়ে যায়। দেহ যেখানে মিলেছে, তার পিছনে একাধিক ফাঁকা জমি দেওয়াল দিয়ে ঘেরা রয়েছে। ঘটনাস্থলের ঠিক উল্টোদিকের একমাত্র বাড়িটির বাসিন্দা প্রকাশ শর্মা বলেন, ‘‘কোনও আওয়াজ শুনিনি। বড় রাস্তায় দুর্ঘটনা ঘটেছে বলেও বুঝিনি।’’

Murder Stone
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy