কুসুম চক্রবর্তীর দেহ উদ্ধার পুলিশের। নিজস্ব চিত্র
দিনের পর দিন মায়ের মৃতদেহ আগলে ঘরেই বসে ছেলে। পচা গন্ধ পেয়ে পুলিশে খবর দিলেন প্রতিবেশীরা। শেষ পর্যন্ত পুলিশ এসে উদ্ধার করে পচাগলা দেহ। রবিবার এমন ঘটনায় চাঞ্চল্য উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার সুভাষনগরে।
চোপড়ার সুভাষনগর এলাকার বাস করতেন অশীতিপর কুসুম চক্রবর্তী এবং তাঁর ছেলে ষাটোর্ধ্ব রামকৃষ্ণ চক্রবর্তী। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েক দিন ধরে কসুমকে দেখতে পাচ্ছিলেন না প্রতিবেশীরা। এর মধ্যেই শনিবার রাত থেকে পচা গন্ধ ছড়াতে থাকে এলাকায়। এর পরই শুরু হয় গন্ধের উৎস সন্ধান। দীর্ঘ ক্ষণ খোঁজাখুঁজির পর, সন্ধান মেলে। সুভাষনগরের শেষ প্রান্তে কুসুমের বাড়ি। সেখান থেকেই গন্ধ বেরোচ্ছিল বলে জানা যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ওই বাড়িতে গিয়ে রামকৃষ্ণকে মায়ের কথা জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি নির্বিকারে উত্তর দেন, ‘‘মা ৪ দিন হল মারা গিয়েছে। ঘরেই রাখা আছে দেহ।’’
এর পর স্থানীয় বাসিন্দারা খবর দেন পুলিশে। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। প্রতিবেশীদের বক্তব্য, রামকৃষ্ণ মানসিক অবসাদগ্রস্ত ছিলেন। তিনি নিজে ঘর থেকে বার হতেন না। তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হয়েছে কুসুমের। তবে এর পিছনে ভিন্ন কোনও রহস্য রয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy